সিলেট মিরর ডেস্ক
জানুয়ারি ০৪, ২০২১
০৬:১৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ০৪, ২০২১
০৬:১৬ পূর্বাহ্ন
সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্ট থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত সড়কে রিকশাসহ অযান্ত্রিক যানচলাচল বন্ধ ও অবৈধ পার্কিং বন্ধে যৌথ অভিযান চালিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন ও মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। গতকাল রবিবার বিকেলে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা যায়, পয়লা জানুয়ারি থেকে কোর্ট পয়েন্ট-চৌহাট্টা সড়কে রিকশা, হাতাগাড়ি, ভ্যান ও লেগুনা চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। নাগরিক ভোগান্তি বিবেচনায় এসব যান চলাচল বন্ধের আহ্বান জানিয়ে সাইনবোর্ড লাগানোর পাশাপাশি সচেতনতামূলক মাইকিংও করা হয় সিসিকের পক্ষ থেকে। গত শনিবার থেকে এই সড়কে রিকশার চলাচল বন্ধে মাঠে কাজ করেন সিসিকের কর্মীরা।
রবিবার সকাল থেকে কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টা পয়েন্টে সিসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি সড়কে রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। বিকেলে সিসিক-মহানগর পুলিশের যৌথ অভিযানে এই সড়কে পুরোপুরি বন্ধ করা হয় অযান্ত্রিক যানবাহন। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান শেষে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা নগরবাসির সহযোগিতায় এই সড়কের ফুটপাত থেকে হকারদের সরিয়ে নিয়েছি। এখন আমরা এই সড়কটিকে একটি মডেল সড়কে রূপান্তরের চেষ্টা করছি। নগরের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে অযান্ত্রিক বাহনের চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণার পর আমরা দুদিন পর্যবেক্ষণ করেছি। আশা করি মহানগর পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় এবং নগরবাসির সহযোগিতায় এই সড়কে অযান্ত্রিক যানবাহন পুরোপুরি বন্ধ হবে।’
রাস্তার পাশে গাড়ি রেখে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে দেখেছি। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করব।’ ঝুঁকি এড়াতে রাস্তা দিয়ে না হেটে ফুটপাত দিয়ে হাটতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, কাউন্সিলর বিক্রম কর সম্রাট, কাউন্সিলর এ কে এ লায়েক, কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান, কাউন্সিলর তকবির ইসলাম পিন্টু, সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফুর রহমান, লাইসেন্স কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
আরসি-০২