মিরাজের শতকে বাংলাদেশের ৪৩০

ক্রীড়া প্রতিবেদক


ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
০৭:২৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
০৭:২৭ পূর্বাহ্ন



মিরাজের শতকে বাংলাদেশের ৪৩০

সেঞ্চুরির সুযোগ পেয়েও হারিয়েছিলেন সাদমান ও সাকিব। তবে সুযোগটা ঠিকই কাজে লাগিয়েছেন মিরাজ। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম শতক। ওয়েস্টিইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ১৬০ বলে শতকের দেখা পেলেন মিরাজ। তার প্রথম শতকে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেমেছে ৪৩০ রানে।

দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের ভরসা ছিলেন লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান। সাকিব ফিফটি করে সাজঘরে যখন ফেরত গেছেন তখন রান পাহাড়ের যাওয়ার স্বপ্নটা কিছুটা হলেও কমে গিয়েছিল। মেহেদি হাসান মিরাজের কল্যাণে সেটা সম্ভব হয়েছে।

দিনের শুরুতে লিটনের বিদায়ে মাঠে নামতে হয়েছিল মিরাজকে। সঙ্গ দিয়েছেন সাকিব আল হাসানকে। তবে শেষ পর্যন্ত পর্যন্ত সাদমানের মতো সাকিবও আশা জাগিয়ে ফিরে যান। এরপর তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে মিরাজ রানের গতি সচল রেখে শেষ করেন প্রথম সেশন। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যান যখন, তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩২৮ রান। বিরতি থেকেই ফিরেই মিরাজ তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক। প্রথম টেস্টের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অর্ধশতক পেতে তিনি খেলেছেন ৯৯ বল।

প্রথম দিনের মতো আজও প্রথম সেশনে বাংলাদেশ দুই উইকেট হারিয়েছে। দ্বিতীয় সেশনে হারাতে হয়েছে তাইজুল ইসলামের উইকেটও। মাঠে নামেন স্পিনার নাঈম হাসান। মিরাজ ধীরস্থীরে খেললেও নাঈম ছিলেন আগ্রাসী। দ্রুতই বাড়াতে থাকেন রানের সংগ্রহ। তবে বনারের বল বুঝতে না পেরে বোল্ড হন তিনি। ফিরে যান ৪৬ বলে ২৪ রান করে। ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪ টি বাউন্ডারিতে।

নাঈম যখন ফিরে যান মিরাজের সংগ্রহ তখন ৯২ রান। বাংলাদেশের হাতে তখন মাত্র একটি উইকেট। এই বুঝি মিরাজের প্রথম সেঞ্চুরিটা ফসকে গেল বলে মনে শঙ্কা জেগেছিল। তবে সে শঙ্কার মেঘ উড়িয়ে দিয়ে মিরাজ তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম শতক। দারুণ শট, টাইমিং আর নিজের ব্যাটসম্যান সত্ত্বার পরিচয় দিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশও তাতে প্রথম ইনিংসে পেয়েছে ৪৩০ রানের বড় সংগ্রহ। ১৩ চারে ১৬৮ বলে ১০৩ রানে আউট হন মিরাজ। কর্নওয়ালের বল লঙ অনে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বদলী খেলোয়াড় হডজের হাতে তুলে দেন মিরাজ। বাংলাদেশ অলআউট হয় ৪৩০ রানে।

তবে মিরাজের সেঞ্চুরির পর ইনিংস ঘোষণার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সে সুযোগ না নিয়ে সংগ্রহ বড় করার দিকেই মনযোগ ছিল টাইগারদের।

আরসি-১৬