অপরাজিত ইউনাইটেডকে হারিয়ে ফাইনালে সিসিক ওয়ারিওর্স

ক্রীড়া প্রতিবেদক


ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
০৯:৫৮ অপরাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
১২:২৬ পূর্বাহ্ন



অপরাজিত ইউনাইটেডকে হারিয়ে ফাইনালে সিসিক ওয়ারিওর্স

প্রাথমিক পর্বে দলটি ছিল দূরন্ত। কোনো দলই তাদের কাছে পাত্তা পায়নি। অপরাজিত থেকেই নিশ্চিত করেছিল সেমিফাইনাল। কোনো ম্যাচ না হেরে সিলেট ইউনাইটেড শেষ চারে নাম লেখায়, শেষ পর্যন্ত তারাই কিনা শোচনীয় পরাজয়ে বিদায় নিয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। সিলেট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে তারা ৬৮ রানে হেরে গেছে সিলেট সিটি করপোরেশন ওয়ারিওর্সের কাছে। এতে দ্বিতীয় দল হিসেবে টুর্নামেন্টের ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছে ওয়ারিওর্স।

টস জিতে ব্যাট করতে নামা ওয়ারিওর্স এদিন শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক। সেই আক্রমণের ধারা ম্যাচের শেষ পর্যন্ত থাকায় নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানের বড় সংগ্রহ পায় সিসিক।

ওপেনার রিজভি ৬০ বলে ৪ ছক্কা ও ৬ চারের মারে ৭৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। টপ অর্ডারে ব্যাট করতে নামা জাকির হাসান রান আউট হয়ে ফিরেন ১০ রান করে। তবে শেষদিকে শাহনুরের ২৫ বলে ৩০ এবং অভিজ্ঞ ফরহাদ রেজার ৯ বলে ১৭ রানের ইনিংস দুটি ছিল বেশ কার্যকরি।

ইউনাইটেডের মুজাক্কির ছাড়া সব বোলারই ছিলেন খরুচে। দলটির আইকন আবু জায়েদ রাহি ৪ ওভারে ৪৬ রান খরচায় ছিলেন উইকেটশূন্য। মুজাক্কির ৬ রানে ১ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার। আরেক বোলার আরিফুল নেন ২৪ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।

১৫৮ রানের বড় লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিংয়ে ধুঁকতে থাকে ইউনাইটেড। ওপেনিংয়ে নামা দলটির আরাফাত সানি জুনিয়র মাত্র দুই বল খেলেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লে। এরপর থেকেই ব্যাটসম্যানদের যাওয়া-আসার মিছিল শুরু হয়।

দলটির প্রথম ৮ ব্যাটসম্যানের ৭ জনই দুই অঙ্কের রানের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা নয়। মাত্র ৩২ রানেই দলটি হারায় ৬ উইকেট হারায়। প্রথম দশ ওভারে কোনো বাউন্ডারি আসেনি আরিফুল-শেহনাজ-জাভেদদের ব্যাট থেকে।

দলের এমন অবস্থায় ত্রাতা হয়ে চোট পাওয়া ওপেনার আরাফাত ব্যাট হাতে আবার নেমে পড়েন। নেমে ইউনাইটেডকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচান। ৩৩ বলে ৩ ছক্কা ও ৬ চারের মারে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন। দলকে ৫০’র নিচে অলআউট হওয়া থেকে রক্ষা করেন। আরাফাতের সঙ্গে এক ছক্কায় রাহিও খেলেন ১২ রানের ইনিংস।

ওয়ারিওর্সের হয়ে মাত্র ৯ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন জয়নুল। এছাড়া ৫ রানে ২ উইকেট শিকার করেন সানজামুল ইসলাম।

পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, টার্গেট অনুযায়ি খেলেছি। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে প্রত্যকটি ম্যাচে রান করছিলাম, কিন্তু বড় কোন স্কোর পাচ্ছিলাম না। আজ বড় স্কোর করতে পেরেছি। দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে পেরে খুশি জানান রিজভী।

ফাইনাল নিয়ে জাকির বলেন, ফাইনালে জেতা ভাগ্যের বিষয়। তবে আমরা সেরাটা দিয়ে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হবার খেলব।

আরসি-০১