রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ০৩, ২০২১
০৪:৫৫ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ০৩, ২০২১
০৪:৫৫ অপরাহ্ন



রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

রাশিয়ার বিরোধী রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের কর্মী আলেক্সেই নাভালনি মামলায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। দেশটির একাধিক কর্মকর্তা ও সংস্থার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

নাভালনিকে গ্রেপ্তারে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার জবাবে রাশিয়া জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ বাস্তবসম্মত নয়। ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের দাবি মানার প্রশ্নই ওঠে না।

পুতিনের বিরুদ্ধে একাধিক ব্লগ লিখেছেন নাভালনি। শুধু তাই নয়, তার সংস্থা তদন্তমূলক রিপোর্টে প্রকাশ করেছে, কীভাবে কালো টাকায় আস্ত একটি প্রাসাদ কিনেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

এই পরিস্থিতিতে গত বছর নাভালনিকে পুতিন প্রশাসন বিষ দিয়ে মারার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে। অসুস্থ নাভালনিকে জার্মানিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন।

সম্প্রতি নাভালনি দেশে ফিরতেই পুতিন প্রশাসন তাকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে তার সাজা হয়। এর পরেই একদিকে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকে। মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র জারি করে নিষেধাজ্ঞা জারি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ান ফেডারেশনের ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির প্রধান আলেক্সান্ডার বাস্ত্রিকিন, প্রসিকিউটর জেনারেল ইগোর ক্রাসনোভ, ন্যাশনাল গার্ডের প্রধান ভিক্টর জোলোটোভ ও ফেডারেল প্রিসন সার্ভিসের প্রধান আলেক্সান্ডার কালশনিকভ আছেন। তবে ইইউ কোনো সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি।

যুক্তরাষ্ট্র সাতজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। একই সঙ্গে ১৩টি কোম্পানি বা সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ওই সংস্থাগুলো নার্ভ গ্যাস এবং বায়ো অস্ত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত।

জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে এটাই রাশিয়ার বিরুদ্ধে তার সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ। মঙ্গলবার বাইডেনের প্রশাসন বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, আমেরিকা দ্রুত নাভালনির মুক্তি চাইছে। এরপরও রাশিয়া কোনো ব্যবস্থা না নিলে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ দিকে কোনো পদক্ষেপ না নিলেও যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পদক্ষেপকে সমর্থন করে।  কড়া সমালোচনা করেছে জার্মানিও।

বি এন-০৩