ধর্মপাশায় বাঁধ দিয়ে জমি দখলের অভিযোগ

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


মার্চ ০৩, ২০২১
০৯:৪৭ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ০৩, ২০২১
০৯:৪৭ অপরাহ্ন



ধর্মপাশায় বাঁধ দিয়ে জমি দখলের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের সানবাড়ী গ্রামের সামনে কাইলানী হাওরের টঙ্গী ফসলরক্ষা বাঁধের ২৪ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) প্রকল্প কাজ স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির রেকর্ডিয় জমি ও পারিবারিক শশ্মানের উপর দিয়ে বিধিবহির্ভূতভাবে করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  

আজ বুধবার (৩ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কাইলানী হাওরের টঙ্গী ফসলরক্ষা বাঁধ সংলগ্ন সানবাড়ী গ্রামের নিজ বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কৃষক পরিমল মজুমদারের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ জানানো হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, পরিমলের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস, বড় ভাইয়ের স্ত্রী শ্যামলতা মজুমদার, ভাতিজা প্রদীপ মজুমদার প্রমুখ।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে পরিমল মজুমদার উল্লেখ করেন, দুই বছর ধরে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে উপজেলার কাইলানী হাওরে টঙ্গী বাঁধের ডুবন্ত বাঁধ মেরামত ও পুনঃনির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন হয়ে আসছে। সেখানে গত বছর ৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) ছিল, যার নম্বর ৫৬, ৫৭ ও ৫৮। চলতি বছরে সেখানে মাত্র একটি পিআইসি দিয়ে টঙ্গী ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে, যার নম্বর ২৪। পিআইসির সভাপতি হলেন সোরওয়ার্দী তালুকদার ও সদস্য সচিব হলেন গোলাম মৌলা।

তিনি দাবি করেন, এই বাঁধের ২৪ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজের ২ কিলোমিটারের মধ্যে ৫০০ থেকে ৬০০ মিটার আমাদের পারিবারিকভাবে রেকর্ডিয় জমি রয়েছে, যার মধ্যে আমাদের একটি পারিবারিক শ্মশানও রয়েছে। গতবছরও আমাদের রেকর্ডিয় ভূমি ও পারিবারিক শশ্মানের উপর দিয়ে বাঁধ নেওয়ার কাজে বাধা দিয়েছিলাম আমরা। এর প্রেক্ষিতে আমি ৫ দিন জেল খেটেছি। টঙ্গী বাঁধে পাউবো'র কোনো অ্যালাইনমেন্ট না থাকার পরও প্রশাসনের সহায়তায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বিধিবহির্ভূতভাবে এবার ওই বাঁধের কাজটি করিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও এ নিয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং ধর্মপাশা উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সদস্য সচিব মো. এমরান হোসেন বলেন, 'কাইলানী হাওরের টঙ্গী ফসলরক্ষা বাঁধে পাউবোর কোনো অ্যালাইনমেন্ট নেই। শ্মশানের উপর দিয়ে বাঁধ নেওয়া হয়নি। কাইলানী হাওরের টঙ্গী ফসলরক্ষা বাঁধের যাবতীয় কাজ উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক করা হয়েছে।'

 

এসএ/আরআর-০৯