খেলা ডেস্ক
মার্চ ১৯, ২০২১
০৬:৫৮ অপরাহ্ন
আপডেট : মার্চ ১৯, ২০২১
০৬:৫৮ অপরাহ্ন
একসময় ক্রিকেটে সিলেটের তারকা ছিলেন তারা। ক্রিকেটের সবুজ গালিচা ছিল তাদের ঠিকানা। ব্যাটে বলে তারা কাটিয়েছেন সোনালি সময়। সময়ের প্রয়োজনে এখন তারা ক্রিকেটের নেশা ছেড়ে জড়িয়েছেন নানা পেশায়। সিলেটের সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকের ঠিকানা এখন আবার ইউরোপ, আমেরিকায়। ক্রিকেট পরবর্তী জীবনের ব্যস্ততায় সতীর্থদের একে অন্যের দেখা নেই বহুদিন।
দীর্ঘদিনের দেখা সাক্ষাতের খরা ঘুচানোর জন্য এবার তাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে মাস্টার্স কাপ টি-১০ ক্রিকেট। ফিরেছেন তারা চিরচেনা সেই বাইশগজে। ক্রিকেট খেলার ফাঁকে ফাঁকে একেকজন করলেন পুরোনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন।
সিলেটের সাবেক ক্রিকেটারদের সংগঠন ‘এক্স ক্রিকেটার সিলেট’ আয়োজিত মাস্টার্স কাপ টি-১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় কামালবাজারস্থ লিডিং ইউনিভার্স্টি মাঠে এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাস্টার্স কাপ টি-১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কমিটির সভাপতি মুফতি জামাল আহমেদ, সেক্রেটারি ওয়াসিকুজ্জামান অনি, আহমেদ জুলকারনাইন, হানিফ আলম চৌধুরীসহ অংশগ্রহণকারী দলের অধিনায়কবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আম্পায়ার আশরাফ আরমান, ইছমত আহমদ ও তানজীল শাহরীয়ার ওলি।
উদ্বোধনী দিনে চারটি ম্যাচ অনুষ্টিত হয়ে। অংশগ্রহণকারী দলগুলো একে অপরের মোকাবেলা করে। উদ্বোধনী ম্যাচে জাকির-তারিন একাদশে খেলে হান্নান-রনজু একাদশের বিপক্ষে। প্রথম ব্যাট করে জাকির-তারিন একাদশ নির্ধারিত ১০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ৮০ রান সংগ্রহ করে। জাকির-তারিন একাদশের ওপেনার রনি করেন ২৩ রান, এছাড়া শুক্কুর করেন ১৭ রান। হান্নান-রনজু একাদশের বোলার জুয়েল, আহমদ এবং ওমর একটি করে উইকেট লাভ করেন।
৮০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হান্নান রনজু একাদশ ১ উইকেট হারিয়ে ৯ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে জয়লাভ করে। হান্নান একাদশের ওপেনার সাদাত করেন অপরাজিত ২৮ রান। এছাড়া অপরাজিত ৩১ রান করেন ওমর। ব্যাট হাতে অপরাজিত ২৮ রানের কারণে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন সাদাত।
দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় রাজা-মুস্তাক একাদশ ও হাসান জালাল একাদশ। হাসান-জালাল একাদশ প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ১০ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৭৫ রান সংগ্রহ করে। হাসান-জালাল একাদশের ব্যাটসম্যান অনি ৫ বাউন্ডারিতে অপরাজিত ৩৪ রান করেন। রাজা-মোস্তাক একাদশের বোলার মিস্টু এবং জাবেদ একটি করে উইকেট লাভ করেন।
হাসান-জালাল একাদশের ৭৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাজা-মোস্তাক একাদশ ৩১ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয়। রাজা-মোস্তাক একাদশের ব্যাটসম্যান সুইট পাঁচ ছক্কায় এবং এক চারে ৩৫ রান করেন। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন রাজা-মোস্তাক একাদশের সুইট। টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচে জাকির-তারিন একাদশকেও ৯ উইকেটে হারায় রাজা-মোস্তাক একাদশ।
প্রথমে ব্যাট করে জাকির-তারিক একাদশ ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৩ রান সংগ্রহ করে। ৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাজা-মোস্তাক একাদশ ১৭ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে জয়লাভ করে। রাজা-মোস্তাক একাদশের ব্যাটসম্যান সুইট করেন ৪ বাউন্ডারি এবং ২ ছক্কায় করেন ৩২ রান।
দিনের শেষ খেলায় হান্নান-রনজু একাদশ মোকাবেলা করে হাসান-জালাল একাদশকে। হাসান-জালাল একাদশ প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ১০ ওভার শেষে সাত উইকেটে ৯৫ রান সংগ্রহ করে। হাসান-জালাল একাদশের সাফওয়ান তিন বাউন্ডারি আর দুই ছক্কায় ২৯ রান করেন। হান্নান-রনজু একাদশের বোলার রুহিন পান দুই উইকেট।
৯৬ রান তাড়া করতে নেমে হান্নান-রনজু একাদশ ৭ উইকেটে জয়লাভ করে। হান্নান-রনজু একাদশের ব্যাটসম্যান লালু চার বাউন্ডারি এবং দুই ছক্কায় রান করেন, দলের আরেক ব্যাটসম্যান তুষার চার বাউন্ডারি আর তিন ছয়ে করেন ৩৫ রান।
আজ শনিবার দুপুর দেড়টায় টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা কামালবাজারের লিডিং ইউনিভার্সিটি মাঠে অনুষ্টিত হবে।
আরসি-০২