সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
মার্চ ২২, ২০২১
১২:০৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মার্চ ২২, ২০২১
১২:০৮ পূর্বাহ্ন
ফেসবুকে দেওয়া পোস্ট থেকেই সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দুদের গ্রাম নোয়াগাঁওয়ে সাম্প্রদায়িক হামলা ও লুটপাট হয়েছে। এই সূত্র ধরেই তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (২১ মার্চ) দুপুরে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এ কথা জানান।
পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, হামলার বিষয়টি ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া নিয়ে। ১৬ তারিখে ঝুমন দাস আপন নামের এক যুবক হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক বিষয়ে 'কুরুচিপূর্ণ' পোস্ট দেন। মামুনুলের অনুসারীরা এটি দেখার পরে আশেপাশের গ্রাম থকে সংগঠিত হয়ে গ্রামের দিকে আসতে থাকে। পুলিশ জানার পর রাত ৯টায় থানার ওসি ফোর্সসহ গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, মামুনুল হক তাদের পছন্দের লোক। তারা ঝুমনের স্ট্যাটাসে ক্ষুব্ধ হয়েছে। তাই লাঠিসোঁটা নিয়ে গ্রামের দিকে আসছিলেন তারা। ওইদিন পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ১৭ মার্চ সকাল ৮টায় সংবাদ আসে আশেপাশের গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে গ্রামে আসছেন। সঙ্গে সঙ্গে আমরা ওসি, ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যানসহ পুলিশ ফোর্সকে পাঠিয়ে দেই।
তিনি বলেন, দাড়াইন বাজারের পুলিশ একদলকে নিবৃত্ত করতে সক্ষম হয়। তবে গ্রামটি লম্বালম্বি হওয়ায় পূর্বদিকে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই হামলাকারীরা ৩০ মিনিট তাণ্ডব চালিয়ে যায়। আমি বেলা সাড়ে ১১টায় সেখানে পৌঁছে সবার সঙ্গে কথা বলি। তারা আমাদেরকে হামলা ও লুটপাটের চিত্র দেখিয়েছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, এমন ঘৃণ্য কাজ যাতে আগামীতে কেউ করতে না পারে সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে। জড়িত সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। আমরা সেখান থেকেই তদন্ত করব। পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ও তদন্তে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান, ডিআইও-১ আলা উদ্দিন মৃধা, সদর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এসএস/আরআর-০২