ওসমানীনগরে নানা আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

ওসমানীনগর প্রতিনিধি


মার্চ ২৬, ২০২১
০৭:১১ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ২৬, ২০২১
০৭:১১ অপরাহ্ন



ওসমানীনগরে নানা আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

সিলেটের ওসমানীনগরে মহান স্বাধীনতা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তিতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী কর্মসূচী পালন করা হয়। এর মধ্যে ছিল সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তোপধ্বনি, সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শহীদ স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকাল ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন হয়। সকাল ১০টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যগণের সংবর্ধনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় কাবাডি প্রতিযোগিতা। দুপুরে হাসপাতাল, থানা হাজত ও এতিমখানায় উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় হবে আলোকসজ্জা। আর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যগণের সংবর্ধনায় আলোচকরা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের পর পাকিস্তানি শাসক ও শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের সূচনালগ্নে পাকবাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় অবরুদ্ধ স্বদেশ থেকে দখলদারবাহিনীকে বিতাড়িত করার মরণপণ লড়াই মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়েন দেশকে শত্রুমুক্ত করার সংগ্রামে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীকে বিতাড়িত করার মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিনিয়ে এনেছেন। ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের এ স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা কখনও তাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেননি। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের অহংকার। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়নে নানাবিধ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। তাদের জন্য বাসস্থান, চিকিৎসাসেবা, কোটাভিত্তিক সরকারি চাকরিতে নিয়োগ এবং তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি, বাসস্থান নির্মাণসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সুযোগ-সুবিধা পর্যায়ক্রমে আরও বাড়ানো হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাহমিনা আক্তার। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার চক্রবর্তীর পরিচালনায় এতে অতিথি আলোচক ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক চৌধুরী, থানার ওসি শ্যামল বণিক, সিলেট জেলা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক কবির উদ্দিন আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি আব্দাল মিয়া, জি এম কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু, যুগ্ম-সম্পাদক অরুণোদয় পাল ঝলক, সাংগঠনিক সম্পাদক আনা মিয়া, লুৎফুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক চঞ্চল পাল, আওয়ামী লীগ নেতা মামুনুর রশিদ খলকু, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহিমা সুলতানা সুমি, সাধারণ সম্পাদক মুক্তা পারভিন প্রমুখ।

 

ইউডি/আরআর-০২