'মুক্তিযোদ্ধার খুনি এবার ধর্ষকের পক্ষপাতিত্ব করছেন'

প্রতিনিধি, দোয়ারাবাজার


মে ১১, ২০২১
০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ১১, ২০২১
০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন



'মুক্তিযোদ্ধার খুনি এবার ধর্ষকের পক্ষপাতিত্ব করছেন'
দোয়ারায় যুবলীগ নেতার অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নে সম্প্রতি ১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণের ঘটনার পরবর্তী মানববন্ধন করা নিয়ে গতকাল রবিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইপক্ষের লোকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে এলাকাজুড়ে এখন জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ সংঘর্ষের ঘটনার পর তৈয়ব আলী মাস্টারের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য বুলবুল মিয়া।

আজ সোমবার (১০ মে) নিজের বাসায় দুপুরে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে যুবলীগ নেতা বুলবুল মিয়া বলেন, তৈয়ব আলী ওরফে তৈয়ব আলী মাস্টার আমার আপন চাচা সাবেক ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আসমত আলীকে ১৯৮৫ সালে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ হত্যা মামলায় দীর্ঘ ২৬ বছর কারাভোগ করে এলাকায় এসে আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। সম্প্রতি তারই নিকটাত্মীয় রিপন মিয়া একই ইউনিয়নের ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করেছেন। ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সচেতন নাগরিক সমাজ এবং রোছমত আলী রামসুন্দর স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করার পরামর্শের জন্য তৈয়ব আলী মাস্টারের কাছে যান। তিনি ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে এক শিক্ষার্থীকে ধমক দেন। এ নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ী ও তৈয়ব আলী মাস্টারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তার নেতৃত্বে বাজারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দিতে এলে এতে বাধা দেন আমার ছোট ভাই প্রভাষক আবুবকর সিদ্দিক। এ সময় তৈয়ব আলী মাস্টার রামদা দিয়ে আমার ভাইয়ের মাথায় আঘাত করলে সে রক্তাক্ত হয়। মুহূর্তেই তার অস্ত্রধারী আত্মীয়-স্বজন আমাদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় দোয়ারাবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে জানিয়ে ধর্ষকের পক্ষপাতিত্ব করা তৈয়ব আলী মাস্টার ও তার লাঠিয়াল বাহিনী আত্মীয়-স্বজনদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নাজমুল হাসান হিমেল, পায়েল হাসান, মশিউর রহমান, ফরহাদ আলম প্রমুখ।

 

এইচএইচ/আরআর-০৬