দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি

মে ২২, ২০২১
০৪:২৫ পূর্বাহ্ন

আপডেট : মে ২২, ২০২১
০৪:২৫ পূর্বাহ্ন

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বসতবাড়িতে ইয়াবা রেখে র‍্যাবকে খবর দিয়ে এনে অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেল দুই যুবক। এ নিয়ে এলাকায় এখন তোলপাড় শুরু হয়েছে। নিরীহ ব্যক্তিকে ফাঁসানোর এমন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের মৃত আলকাছ আলীর পুত্র সাহাঙ্গীর আলমের (৩৫) সঙ্গে গ্রাম্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে তাকে ফাঁসাতে একই গ্রামের হানিফ উল্লাহ'র পুত্র শফিকুল ও মৃত জমির আলীর পুত্র ফরহাদ আলম সাহাঙ্গীরের বসতবাড়ির খড়ের ঘরে ২০০ পিস ইয়াবা রেখে দেন। পরে তারা র‍্যাবকে খবর দিয়ে নিয়ে আসেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টায় র‍্যাব সাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে সংবাদদাতা ফরহাদকে আটক করে। এ সময় ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত শফিকুল দৌড়ে পালিয়ে যান।

আজ শুক্রবার (২১ মে) সকালে সর্বস্তরের এলাকাবাসী ইয়াবা দিয়ে নিরীহ সাহাঙ্গীর আলমকে ফাঁসানোর চেষ্টাকারী দুই ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্থানীয় শ্যামলবাজারস্থ ছাতক-সুনামগঞ্জ সড়কে বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাহাঙ্গীর আলম একজন ভালো মানুষ। তিনি স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে শফিকুল ও ফরহাদ তাকে বাধা দিয়ে আসছিল। তাদের কথা না শোনায় ইয়াবা ব্যবসায়ী শফিকুল ও ফরহাদ তার বাড়িতে ইয়াবা রেখে তাকে ফাঁসানোর জন্য নিজেরাই র‍্যাববকে খবর দিয়ে আনে। পরে র‍্যাব ঘটনা বুঝতে পের সাহাঙ্গীর আলমকে ছেড়ে উল্টো সংবাদদাতা ফরহাদকে আটক করে। এ সময় টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শফিকুল দৌড়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী শফিকুলকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এবং এমন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

এ সময় বক্তব্য দেন, বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য আজর আলী, আছদ্দর আলী, হাফিজ চান্দ আলী, শানুর মিয়া, নুর ইসলাম, আবদুল কাদির, শফিকুল ইসলাম মালদার, জমির আলী, ফয়জুন নুর, রাসেল, শাহাব উদ্দিন, আজিজুর রহমান, আলমগীর, সোনা মিয়া, মানিক মিয়া, জামাল উদ্দিন, আজরফ চৌধুরী প্রমুখ।

এইচএইচ/আরআর-০৫