মামুনুলকে নিয়ে মন্তব্য করায় যুবককে মারধর, গ্রেপ্তার ২

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


মে ২২, ২০২১
১১:৪৩ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ২৩, ২০২১
০৩:১৮ পূর্বাহ্ন



মামুনুলকে নিয়ে মন্তব্য করায় যুবককে মারধর, গ্রেপ্তার ২

হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হকের 'মানবিক বিয়ের' বিষয়ে সামাজিক যোগোযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেওয়ায় সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় জাহানূর মিয়া (২৪) নামের এক যুবক হেফাজত সমর্থকদের মারধরের শিকার হয়েছেন। ওই যুবকের বাড়ি উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর রংপুর হাটি গ্রামে।

গতকাল শুক্রবার (২১ মে) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার রাজাপুর বাজারে এ মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এমদাদুল হক (৩৮) ও সুলতান রেজা (২৪) নামের দুইজন। তাদেরকে আজ শনিবার (২২ মে) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ধর্মপাশা থানার পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর রংপুর হাটি গ্রামের বাসিন্দা জাহানূর মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সুনামগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছেন। গত ৫ মে তিনি নিজের ফেসবুক আইডি থেকে 'মামুনুল হকের মানবিক বিয়ের পাঁচটি শর্ত' এইটুকু লিখে একটি পোস্ট দেন। এতে তিনি তার নিজ ইউনিয়নের কয়েকজন হেফাজত সমর্থকের বিরাগভাজন হন এবং তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। 

সপ্তাহখানেক আগে ওই যুবক নিজের বাড়িতে যান। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে তিনি তার ইউনিয়নের রাজাপুর বাজারে যান। এ সময় একই ইউনিয়নের রাজাপুর রহমতপুর গ্রামের এমদাদুল হক (৩৮), সুলতান রেজা (২৪) ও রাজাপুর রংপুরহাটি গ্রামের সাইদুর রহমান (২১) মামুনুল হকের মানবিক বিয়ের পাঁচটি শর্ত বিষয়ে পোস্টটি দেওয়ার কারণ জানতে চান। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে জাহানূরের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওই তিনজন তাকে মারধর করেন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওইদিন রাত ১০টার দিকে ধর্মপাশা থানায় গিয়ে আহত জাহানূর মিয়া নিজে বাদী হয়ে হামলাকারী তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এমদাদুল হক ও সুলতান রেজাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ চৌধুরী বলেন, 'মামুনুল হকের মানবিক বিয়ের পাঁচটি শর্ত' এই বাক্যটি লিখে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের জহানূর মিয়া নামের এক যুবক মারধরের শিকার হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এই মামলার দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই দুই আসামি বর্তামানে পুলিশ হেফাজতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হলে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে।


এসএ/আরআর-০৫