সিলেট মিরর ডেস্ক
জুলাই ০২, ২০২১
০৭:৪৭ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ০২, ২০২১
০৭:৪৭ অপরাহ্ন
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি’ ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ সব কারাবন্দিকে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মহাসচিবের সহযোগী মুখপাত্র এরি কানেকো সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
বুধবার ২ হাজারেরও বেশি কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। দেশটির বৃহত্তম শহর ও প্রাধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগার থেকে ৭০০ বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, দেশের অন্যান্য কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে আরও ১৩০০-এর বেশি বন্দিকে।
এই ঘটনার জের ধরেই জাতিসংঘ মহাসচিব সু চি ও উইন মিন্টের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে এরি কানেকো সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আগেও বহুবার বলেছি, আবারও বলছি- অবিলম্বে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ সব কারাবন্দিকে মুক্তি দিন।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে অপসারণ ও বন্দি করে জাতীয় ক্ষমতায় আসীন হয় সামরিক বাহিনী। দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন।
কিন্তু অভ্যুত্থানের পরপরই ফুঁসে ওঠেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি জনতা। ক্ষমতাসীন সামরিক সরাকারের পদত্যাগ ও সু চির মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে তারা শুরু করেন বিক্ষোভ ও আন্দোলন।
বিক্ষোভের প্রথম পর্যায়ে দৃশ্যত সহনশীল থাকলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা দমনে কঠোর তৎপরতা শুরু করে জান্তা। দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাবার বুলেট, লাঠি, জলকামানের পাশাপাশি প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়, পাশাপাশি গ্রেফতার করা শুরু হয় আন্দোলনকারীদের।
মিয়ানমারের কারাবন্দিদের সহায়তা দানকারী বেসরকারী সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স জানিয়েছে, এ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে ৮৮৩ জন নিহত হয়েছেন,এবং কারাগারে অন্তরীণ আছেন ৫ হাজার ২০০-এরও বেশি বিক্ষোভকারী।
কারা অন্তরীণদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে দেশটির প্রচলিত আইনের ৫০৫ (এ) পেনাল কোড অনুসারে মামলা করেছে জান্তা। মামলায় যারা দোষী বলে প্রমাণিত হবেন, তাদের তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
বি এন-০৪