রাজার ওজন ২১ মণ, দাম ৫ লাখ টাকা

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি


জুলাই ১২, ২০২১
০৬:৫০ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১২, ২০২১
০৬:৫০ অপরাহ্ন



রাজার ওজন ২১ মণ, দাম ৫ লাখ টাকা

রাজা কোনো ব্যক্তির নাম নয়। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কুতুবেরচক গ্রামের ইকবাল মিয়ার পালিত ষাঁড় রাজা। এ বছর উপজেলার সর্ববৃহৎ কোরবানির পশু বলে ধরা হচ্ছে এই ষাঁড়টিকে। তাই তো আদর করে এর নাম রাজা দিয়েছেন খামারি। এটি ৯ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বা, ৫ ফুট ২ ইঞ্চি উঁচু আর ওজন ২১ মন। বেশ 'জামাই আদরে' রাখা হয়েছে ৪ বছর বয়সী রাজাকে। 

জানা গেছে, বৃহদাকার এই ষাঁড়ের পেছনে প্রতিদিনের বাজেট প্রায় ৫০০ টাকা। খাবারের মেন্যুতে থাকে খৈল, খেড়, ভূষি, ধানের কুড়া, ডাল আর নিজের জমিতে লাগানো ঘাস। 

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এই রাজার মালিক তার দাম হাঁকাচ্ছেন ৫ লাখ টাকা। রাজাকে আকার, আকৃতি ও ওজনের দিক থেকে উপজেলার সবচেয়ে বড় পশু বলে দাবি করেছেন এর মালিক খামারি ইকবাল মিয়া। রাজাকে দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে ভিড় করছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ।  

লামিয়া ডেইরি ফার্মের সত্ত্বাধিকারী ইকবাল মিয়া জানান, সেনাবাহিনীতে সার্জেন্ট হিসেবে চাকরি করতেন তিনি। অবসরে যাওয়ার পর ৫ বছর আগে ১২টি গাভী দিয়ে লামিয়া ডেইরি ফার্ম শুরু করেন। দুধ বিক্রি করেন আশপাশের এলাকায়। একটি গাভীর বাচ্চা খুব দ্রুত বড় হতে থাকে। এজন্য এর নাম রাখেন রাজা। এই ৪ বছর সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ খাবার খেয়ে বড় হয়েছে রাজা। কোনো প্রকার মোটাতাজাকরণ ওষুধ বা ইনজেকশন ছাড়াই গরুটির ওজন ২১ মন হয়েছে। 

গত কোরবানির ঈদের সময় গরুটিকে তিনি হাটে তুলেছিলেন, কিন্তু আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় বিক্রি করেননি। এবার তিনি রাজার দাম হাঁকছেন ৫ লাখ টাকা। 

তিনি বলেন, ঢাকায় হলে এই গরু ৮/১০ লাখ টাকা দাম হইত। কিন্তু মফস্বলে এত দামে কেউ কিনবে না। তাই ৫ লাখ টাকা দাম চাইছি।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রমাপদ দে বলেন, রাজা উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ষাঁড়। প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলায় বৃহৎ ষাঁড় হিসেবে রাজা পুরস্কৃত হয়েছিল। আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি, রাজার দেখভাল করছি। রাজা সাধারণ খাবার খেয়েই বেড়ে উঠেছে। মোটাতাজাকরণের জন্য আলাদা কোনো খাবার খাওয়ানো হয়নি।


এসডি/আরআর-০৪