তালেবান নেতা মোল্লাহ বারাদার দেশে ফিরছেন

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ১৭, ২০২১
০৮:২৮ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ১৭, ২০২১
০৮:২৮ অপরাহ্ন



তালেবান নেতা মোল্লাহ বারাদার দেশে ফিরছেন

কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দুদিন পর আফগানিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হতে যাওয়া তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান মোল্লাহ আব্দুল গনি বারাদার দেশে ফিরছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক সংবাদে এ তথ্য জানিয়েছে।

মোল্লাহ বারাদারের গতিবিধি সম্পর্কে অবহিত তালেবানের এক সূত্র মঙ্গলবার সিএনএনকে জানিয়েছে, ‘মোল্লাহ বারাদার বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ তালেবান নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের উদ্দেশে দোহা ত্যাগ করেছেন।’

সিএনএন এই খবর জানিয়ে বলেছে, আফগানিস্তানে ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর সামরিক অভিযানের মুখে তালেবান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তালেবানের উপ-প্রধান মোল্লাহ বারাদার বিগত ২০ বছরে আফগানিস্তানে পা রাখেননি। 

এদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী মঙ্গলবার তালেবানের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আফগানিস্তানের জনগণের উদ্দেশে প্রথমবার সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছে তালেবান। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

গতকাল সোমবার তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এখন তালেবানের ভবিষ্যৎ সরকার কাঠামো নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনা চলছে এবং আলোচনা শেষে শিগগিরই এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।

মোল্লাহ বারাদারের পরিচয় তিনি তালেবানের রাজনৈতিক প্রধান। বিশেষজ্ঞদের অনুমান সত্যি হলে বারাদারই হবেন পরবর্তী আফগান প্রেসিডেন্ট। আর যদি তাই হয় তাহলে এই প্রথমবারের মতো কোনো শীর্ষ পদে বসবেন এই তালেবান কমান্ডার।

তালেবান কাবুলে ঢোকার পর মোল্লাহ আব্দুল গনি বারাদার বলেছিলেন, ‘এখন এই মুহূর্তটি তালেবানের জন্য একটা পরীক্ষা। এই সময়ে আমরা একটি পরীক্ষার মুখোমুখি হচ্ছি। কারণ এখন দেশের জনগণের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের কাঁধে।’

প্রধান না হয়েও তালেবানের রাজনৈতিক অবস্থানগত কৌশল কিংবা অভিমুখ বারাদারই ঠিক করেন। দেশে তো বটেই এমনকি আন্তর্জাতিক মঞ্চেও তার অবস্থানই ছিল তালেবানের শেষ কথা। এ কারণেই তালেবানের প্রধান না হয়েও প্রধান মুখ তিনি। 

২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন তার সঙ্গে কথা বলে তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করেছিল। তার আশ্বাসে আফগানিস্তান থেকে সেনা সরায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি পাকিস্তানের জেলে বন্দি বারাদারকে মুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

বিএ-১০