জগন্নাথপুরে কাজ শেষের আগেই নদীভাঙনে সড়ক

আলী আহমদ, জগন্নাথপুর


আগস্ট ২৭, ২০২১
০৬:৫৮ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২৭, ২০২১
০৬:৫৮ অপরাহ্ন



জগন্নাথপুরে কাজ শেষের আগেই নদীভাঙনে সড়ক

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে গ্রামীণ সড়ক। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ১৫টি গ্রামের লোকজনের চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

জানা যায়, উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নে কুশিয়ারা নদীর তীর ঘেঁষা রানীগঞ্জ দক্ষিণপাড় এলাকায় রয়েছে আলমপুর-রৌয়াইল সড়ক। গ্রামীণ এই সড়কে চলছিল পাকাকরণের কাজ। গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করেই কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ছে সড়কটি। এর মধ্যেই সড়কের বালিশ্রী এলাকায় প্রায় ৫০০ মিটার জুড়ে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়কের নতুন কাজ শেষ হওয়ার আগেই সড়কটি বিলীন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ সড়ক দিয়ে ইউনিয়নের নোয়াগাঁও, আলমপুর, বালিশ্রী, রৌয়াইল, হরিনাকান্দি, মেঘারকান্দিসহ ১৫টি গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে আসছিলেন। 

উপজেলা এলজিইডি অফিস ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, স্থানীয় ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কুশিয়ারা নদীর তাণ্ডবে ইতোমধ্যে এলাকাবাসীর যাতায়াতের প্রধান সড়ক, ঘর-বাড়ি, মসজিদ, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। রানীগঞ্জের দক্ষিণ এলাকায় নদী তীরবর্তী আলমপুর-রৌয়াইল-বালিশ্রী সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে আসছেন স্থানীয়রা। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এ সড়কে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিআইডি) বাস্তবায়নে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে আলমপুর-ভালিশ্রী-রৌয়াইল অংশের ৩ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের কাজ শুরু হয়। কাজ পায় সিলেটের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমআই ইঞ্জিনিয়ার। চলতি বছরের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা। এর মধ্যে সড়কে ইটের খোয়া বিছিয়ে রোলারের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাকি শুধু পিচ ঢালাই। এমতাবস্থায় বালিশ্রী গ্রামের গুলজার মিয়ার বাড়ির সামনে কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি। 

রৌয়াইল গ্রামের মাহবুব হোসেন মিঠু জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ১৫টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ চলাচল করেন। এ সড়ক দিয়েই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। নদীভাঙনে এরই মধ্যে গ্রামের প্রধান সড়কটি বিলীন হয়ে গেছে। যখন দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এলাকাবাসীর যাতায়াতের জন্য নির্মিত নতুন সড়কটিতে পাকাকরণের কাজ চলছিল, তখন ফের নদীভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে সড়কটি।

বালিশ্রী গ্রামের আঙ্গুর মিয়া জানান, ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে সড়কটি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়বে। 

উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিআইডি) গোলাম সারোয়ার বলেন, নদীভাঙনের বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা পরিষদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, এ ব্যাপারে জগন্নাথপুরের উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে সরেজমিনে দেখে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।


এএ/আরআর-০২