হাবিবের জয় দেখে যেতে পারেননি লুৎফুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক


সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
১০:৪৬ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
১০:৪৭ অপরাহ্ন



হাবিবের জয় দেখে যেতে পারেননি লুৎফুর রহমান

সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। তার এমপি হওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রাখলেও জয়ের আনন্দে ভাগিদার হতে পারলেন না জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান।

হাবিবের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন লুৎফুর রহমান। হাবিবকে মনোনয়ন দিতে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়ে নেতাকর্মীদের ক্ষোভের কারণও হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত হাবিবকে মনোনয়ন দেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয়ীও হয়েছেন। কিন্তু, নির্বাচনের মাত্র দুদিন আগে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই নেতা।

১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর দলীয় মনোনয়ন নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়। আওয়ামী লীগের ২৫ নেতা দলের মনোনয়ন নেওয়ার দৌঁড়ে প্রতিযোগী হন।

চলতি বছরের ২২ মে মনোনয়নপ্রত্যাশী হাবিবের উদ্যোগে দক্ষিণ সুরমায় স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান উপনির্বাচনে হাবিবকে মনোনয়ন দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানান।

তাঁর এ অনুরোধে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। মনোনয়নপ্রত্যাশী ও অন্য নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কেউ কেউ লুৎফুর রহমানকে দলীয় পদ ছেড়ে দিয়ে হাবিবকে নিয়ে মাঠে নামার আহ্বান জানান। 

কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লুৎফুর রহমানের কথা ফেলে দেননি। শেষ পর্যন্ত হাবিবকেই মনোনয়ন দেন।

নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর লুৎফুর রহমানকে স্মরণ করতে ভুলেননি হাবিব। শনিবার চূড়ান্তভাবে ফলাফল ঘোষণার পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বক্তৃতায় তিনি এই নেতার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘তিনি বেঁচে থাকলে অত্যন্ত খুশি হতেন। আমার মনোনয়নের জন্য তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন দিয়েছেন। অনেক কষ্ট করেছেন। আজ আমি এমপি নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু একদিন আগে উনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।

এসময় তিনি মরহুমের জন্য দোয়া করেন এবং তার মাগফিরাত কামনা করেন।

এসএইচ/বিএ-১৫