সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
১২:২৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
১২:২৩ পূর্বাহ্ন
করোনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় সুনামগঞ্জের মূলধারার নিভৃতচারী অনেক বাউল পেশা বদল করে ফেলেছেন। কেউ ফেরিওয়ালা, কেউ মুদি দোকানদার, আর কেউ বা হয়েছেন দিনমজুর। পেশা হারিয়ে, পেশা বদল করেও অসহায় দিনযাপন করছিলেন তারা। এ বিষয়টি অবগত হয়ে করোনায় কর্মহীন অসহায় বাউলদের খুঁজে বের করে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৩ জন অসহায় ও হতদরিদ্র বাউলের হাতে ১০ হাজার টাকা করে তুলে দিয়েছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট। এ সময় তিনি আগামীতেও বাউলদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বাউল মকরম শাহ, বাউল মকদ্দস আলম উদাসী, বাউল তছকির আলী, বাউল আলম শাহ, বাউল শাহ নূর জালাল, বাউল শাহ আব্দুল তোয়াহেদ, বাউল নূর জালাল, বাউল বশির উদ্দিন সরকার, বাউল বিরহী কালা মিয়া, বাউল ছুরত আলী, বাউল চন্দন মিয়া, বাউল জবান আলী, বাউল লাল শাহসহ নিভৃতচারী অসহায় ২৩ জন বাউলের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা পরিষদের সদস্য সৈয়দ দুলাল, বাউল শাহ নূর জালাল, বাউল আলম শাহ, রাজনীতিবিদ অমল কর, লোক গবেষক সুমন কুমার দাস, সাংবাদিক শামস শামীম প্রমুখ।
বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের পুত্র সহায়তাপ্রাপ্ত বাউল শাহ নূর জালাল বলেন, বাউলরা খুবই অবহেলিত। করোনার কারণে মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে আছি আমরা। অনেক নিভৃতচারী বাউল খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জেলা পরিষদ আমাদের যে সম্মান দিয়েছে, তাতে আমরা কৃতজ্ঞ।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট তার বক্তব্যে বলেন, আমরা দেশে এবং বিদেশে গেলে পরিচয় দেই বাউল হাসন রাজা, রাধারমণ, শাহ আব্দুল
করিমের দেশের লোক। এই করোনা মহামারির কারণে তাদের উত্তরসুরীরা মানবিক কষ্টে আছেন। অনেকে পেশা বদলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমরা এমন অসহায় কিছু বাউলকে সহযোগিতা করতে পেরে আনন্দিত। আগামীতেও জেলা পরিষদ বাউল সম্প্রদায়কে সহযোগিতা দেবে।
এএম/আরআর-০৮