পাঠদানে প্রস্তুত ধর্মপাশার ১৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

শামীম আহমেদ, ধর্মপাশা


সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
১০:০৮ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
০২:২৫ পূর্বাহ্ন



পাঠদানে প্রস্তুত ধর্মপাশার ১৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

সরকারিভাবে আগামীকাল ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ যাবতীয় শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নির্ধারিত সময়ের দুইদিন আগে থেকেই সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার ১৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের ১৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। শিক্ষক রয়েছেন ৮৭৬ জন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন ও পাঠ উপযোগী করার জন্য গত আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ইউআরসি ইন্সট্রাক্টরকে নির্দেশ দেন। এর পর থেকেই ধর্মপাশা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস, সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল মিয়া, সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ মুকুল ও ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর চন্দন কুমার বণিক এই চারজন মিলে উপজেলার ১৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। বিদ্যালয়গুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পাঠ উপযোগী করে তোলার জন্য বিদ্যালয়গুলোর প্রধানদের নির্দেশ দেন তারা।

উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র সরকার বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও যাবতীয় শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে বিদ্যালয়ে আসে, সেজন্য সকল ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, এ উপজেলার ১৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, পাঠদানসহ যাবতীয় শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে গত আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে দুইজন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ইউআরসি ইন্সট্রাক্টরকে নিয়ে আমি এ উপজেলার সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। শুধু পরিদর্শনই নয়, মুঠোফোনের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ বিদ্যালয়কে পাঠদান করার উপযোগী করা হয়েছে কি না সে নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে খোঁজ-খবরও নিয়েছি। বর্তমানে এ উপজেলার সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সরকারঘোষিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নির্ধারিত সময়ের দুইদিন আগেই আমাদের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।


এসএ/আরআর-০১