খেলা ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
০২:৩২ পূর্বাহ্ন

আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
০২:৩২ পূর্বাহ্ন

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সেরা খেলোয়াড় বলা হয়। এই পর্তুগিজ তারকা মঙ্গলবার রাতে সুইস ক্লাব ইয়ং বয়েজের বিপক্ষে মাঠে নেমেই চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বাধিক ১৭৭ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়লেন। যে রেকর্ড শুধু তাঁর সাবেক সতীর্থ, রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক গোলকিপার ইকার ক্যাসিয়াসের রয়েছে। মঙ্গলবার ক্যাসিয়াসের সে রেকর্ডে ভাগ বসালেন রোনালদো। রেকর্ডটাও রাঙালেন দুর্দান্ত এক গোল করে। যা এবারের চ্যাম্পিয়ন লিগের প্রথম গোল।

তবে রোনালদোর রেকর্ডের এই রাতে হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। উলটো ২-১ গোলে হেরে বসেছে দলটি। ম্যাচের ১৩ মিনিটে স্বদেশি ব্রুনো ফার্নান্দেসের সহায়তায় ইউনাইটেডের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল পেলেও, ৬৬ মিনিটে গোল শোধ করে দেন ইয়ং বয়েজের ক্যামেরুনিয়ান উইঙ্গার নিকোলাস এনগামালেউ। ম্যাচের একদম শেষ মূহুর্তে এসে গোল করে পাশার দান পালটে দেন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রাইকার জর্ডান সিবাতচু। ফলে এক পয়েন্টও জোটেনি রোনালদোদের কপালে।

তবে ম্যাচ হারের পেছনে নিজেকে দোষ দিতেই পারেন ইউনাইটেডের ইংলিশ রাইটব্যাক অ্যারন ওয়ান-বিসাকা। ৩৫ মিনিটে তিনি লাল কার্ড দেখে মাঠ না ছাড়লে হয়তো প্রায় এক যুগ পর ইউনাইটেডের জার্সি গায়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে নেমে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তেন রোনালদো! 

নিজেকে দোষ দিতে পারেন ইংলিশ মিডফিল্ডার জেসি লিনগার্ডও। ম্যাচের ৭২ মিনিটে রোনালদোর জায়গায় এই লিনগার্ডকেই মাঠে নামান হয়েছিল। ম্যাচের একদম শেষ মূহুর্তে লিনগার্ডের এক ভুল ব্যাকপাসের সুযোগ নিয়েই জয়সূচক গোলটা করেসেন সিবাতচু! 

গোটা ম্যাচে ইয়ং বয়েজের গোলপোস্ট বরাবর দুটি শট মেরেছে ইউনাইটেড। দুটিই রোনালদোর কল্যাণে। ২০০৩-০৪ মৌসুমের পর থেকে এত কম শট ইউনাইটেড কখনও কোনো চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে মারেনি।

এএন/০১