দিরাইয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের অনাস্থা

দিরাই প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
১২:০৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
১২:০৪ পূর্বাহ্ন



দিরাইয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের অনাস্থা

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কদ্দুসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ এনে পরিষদের ১২ জন সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন। ১২ জন সদস্যের স্বাক্ষর সম্বলিত লিখিত অনাস্থা প্রস্তাবটি গতকাল সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দাখিল করা হয়েছে।

এই ১২ জন সদস্য হলেন- ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোলাপ মিয়া, ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লাল মিয়া, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শিমুল মিয়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মঞ্জুরুল হক, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রাশেদ মিয়া, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ ফরিদ, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিলন মিয়া, সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য জাহানারা বেগম, সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য ছালমা বেগম ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মোছা. হাফছা বেগম।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন জানান, ১২ জন স্বাক্ষরিত অনাস্থা প্রস্তাবের একটি লিখিত কপি পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।

জানা গেছে, লিখিত অনাস্থা প্রস্তাবে চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস দ্বায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে তার নানা অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হয়। এলজিএসপি, ভিজিডি কার্ডের সুবিধাভোগীদের জমাকৃত টাকা, দরিদ্র মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতায় অনিয়ম, এডিপি খাতের অনিয়ম, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ব্যবসার অনুমতিপত্র, হোল্ডিং কর আদায়ের হিসাব, টিআর, কাবিখা, কাবিটায় অনিয়মসহ ১৯ দফা অভিযোগ এনে লিখিত অনাস্থা প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে।

৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ ফরিদ জানান, চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস শুরু থেকেই পরিষদের সদস্যদের কোনো মতামত না নিয়ে একক ক্ষমতায় বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে ভিজিএফ'র ৩০ বস্তা চাল আত্মসাতের বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। আমরা ২০১৭ সালের এপ্রিলে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করি। তখনকার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার বিষয়টি কদ্দুস চেয়ারম্যানের লিখিত অঙ্গিকার নিয়ে বিষয়টি সমঝোতার ভিত্তিতে মীমাংসা করে দেন। কিন্ত চেয়ারম্যান সাহেবের দুর্নীতি তাতেও থামেনি। তিনি দুর্নীতিতে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। প্রায় ৫ বছরের মধ্যে আমরা কেউ সম্মানী ভাতা পাইনি। ফলে আমরা সদস্যগণ নিরুপায় হয়ে পূনরায় অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করি।


এএইচ/আরআর-০২