কানাইঘাট প্রতিনিধি
অক্টোবর ১৯, ২০২১
০৬:০৯ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ১৯, ২০২১
১০:৫৩ অপরাহ্ন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মবার্ষিকী ও শেখ রাসেল দিবস কানাইঘাটে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে কানাইঘাট উপজেলা প্রসাশনের উদ্যোগে শেখ রাসেলের জীবনীর উপর এক আলোচনা সভা সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত হয়।
এর আগে সকাল ৯টায় উপজেলা প্রসাশন চত্তরে রাখা শেখ রাসেলের জন্ম দিন উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড, থানা পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণসহ প্রশাসন চত্বরে বৃক্ষ রোপন, বিতরণ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের পরিচালনায় রাসেল দিবসের আলোচনাস ভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি আব্দুল করিম,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র লুৎফুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা বেগম,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুনমুন নাহার আশা, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তাজুল ইসলাম পিপিএম, সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. জিলানী।
আরও বক্তব্য দেন, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান জেমস্ লিও ফারগুশন নানকা, ৭নং দক্ষিন বানীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ, দীঘিরপার ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল, বড়চতুল ইউপির চেয়ারম্যান মাও আবুল হোসাইন,কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার আফতাব উদ্দিন, শিক্ষার্থী ফাহিমা আক্তার মুন্নিসহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি, এনজিও কর্মী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ।
শেখ রাসেলের জন্ম দিনের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার কনিষ্ঠ সন্তান শিশু শেখ রাসেলকে অত্যন্ত ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধু যেখানে যেতেন সাথে রাখতেন শিশু শেখ রাসেলকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের কালো রাত্রিতে ঘাতকরা জাতির পিতা সহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্বিচারে হত্যাকান্ড চালায় সে সময় ঘাতকদের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাওয়ার পরও শিশু শেখ রাসেলকে তারা হত্যা করে বিশ্বের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায় রচনা করে। শহিদ শেখ রাসেলকে যাতে করে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মরা স্মরণ রাখতে পারেন এ জন্য সরকার শেখ রাসেলের জন্ম দিন’কে রাসেল দিবস ঘোষণা সহ রাসেলের নামে নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যার মধ্য দিয়ে জাতি সবসময় শেখ রাসেলকে স্মরণ রাখতে পারেন।
আলোচনা সভা শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে চিত্রাঙ্কন ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। এ ছাড়া শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্ম বার্ষিকী উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উদ্যোগে পালিত হয়েছে।
এম আর/বি এন-০১
