সিলেট মিরর ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
০৭:০০ অপরাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
০৭:০০ অপরাহ্ন
গত দুই দিন ধরে বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ-মৃত্যুতে নিম্নহার দেখা যাচ্ছে। শনিবারের তুলনায় রোববার বিশ্বে করোনা সংক্রমণ কমেছে ১ লাখ ৬২৬ জন এবং মৃত্যু কমেছে ৯২২ জন।
মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসেব প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স জানাচ্ছে, রবিবার বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮১ হাজার ২১৫ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ২ হাজার ৯৮৫ জন।
আগের দিন শনিবার বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত রোগীর নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৮১ হাজার ৮৪১ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছিল ৩ হাজার ৯০৭ জনের।
রবিবার করোনায় বিশ্বে সর্বোচ্চসংখ্যক রোগী আক্রান্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে- ৯৬ হাজার ৩৮৪ জন। পাশাপাশি, এইদিন দেশটিতে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের।
একইদিন করোনায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ায়-৯৬৮ জন এবং দেশটিতে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৭২১ জন।
এছাড়া, রবিবার আরও যেসব দেশে করোনায় আক্রান্ত-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সে দেশগুলো হলো- ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ২৭ হাজার ৬৯৭, মৃত্যু ৯৬), তুরস্ক (নতুন আক্রান্ত ২০ হাজার ১৩৮, মৃত্যু ১৭৩), ইতালি (নতুন আক্রান্ত ২৪ হাজার ৮৮৩, মৃত্যু ৮১)।
রবিবার বিশ্বে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ১৭ হাজার ৪৬৭ জন। এই সংখ্যা অবশ্য আগের দিন শনিবারের চেয়ে কম। ওইদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছিলেন ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮০৩ জন।
মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৮ কোটি ৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৬৯ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৫৪ লাখ ১৬ হাজার ৩৭০ জনের। এছাড়া, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২৫ কোটি ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৮৭ জন।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী আছেন ২ কোটি ৪৫ লাখ ৫৫ হাজার ৬৩৯ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৭ হাজার ২০৩ জন এবং গুরুতর অসুস্থ আছেন ৮৮ হাজার ৪৩৬ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
বি এন-০১