পাকিস্তানে অনাস্থা ভোট ঘিরে ত্রিমুখী উত্তেজনা

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ২০, ২০২২
১২:৫৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ২০, ২০২২
১২:৫৭ পূর্বাহ্ন



পাকিস্তানে অনাস্থা ভোট ঘিরে ত্রিমুখী উত্তেজনা

জাতীয় পরিষদে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের রাজনীতিতে ত্রিমুখী উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ইমরান খান ক্ষমতায় থাকবেন কি না, তা নিয়ে এখন মুখোমুখি তাঁর ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং সরকারবিরোধী জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টসহ (পিডিএম) অন্য বিরোধীরা। আর এই দুই শিবিরের মধ্যে রয়েছেন পিটিআই দলের ইমরানবিরোধী আইনপ্রণেতারা। তাঁরা অনাস্থা ভোটে ‘বড় প্রভাবক’ হয়ে দাঁড়াতে পারেন।

শনিবার নিজ দলের ১৪ আইনপ্রণেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে পিটিআই। দলবিরোধী তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। আগামী ২৬ তারিখের আগেই এ আইনপ্রণেতাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এতে অনাস্থা ভোটের আগে সরকারের অভ্যন্তরে ফাটল আরও স্পষ্ট হলো।  

চলতি মাসের শুরুর দিকে সাবেক পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) এবং জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলামের (জেইউই-এফ) নেতৃত্বাধীন পিডিএম জোট এবং আরেক সরকারবিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয়।  

আগামী ২৭ তারিখ ইমরানের প্রধানমন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখার এই আলোচিত ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। এই দিন ইসলামাবাদের গণতন্ত্র চত্বরে (ডি-চক) কর্মী-সমর্থকদের জড়ো করার পরিকল্পনা করছে দুই পক্ষই।  

খাইবারপাখতুনখোওয়া প্রদেশের সোয়াত জেলায় এক সমাবেশে ইমরান খান ওই দিন ‘দেশের সবচেয়ে বড় জমায়েত’ করার আহ্বান জানান। জমায়েত বাড়াতে দফায় দফায় বৈঠক করছে তাঁর দল পিটিআই।  

এদিকে পিডিএম জোটও একই দিন ডি-চকে সমাবেশের পরিকল্পনা করছে। জেইউই-এফ দলের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন, ২৭ তারিখ ইসলামাবাদে প্রবেশের পর প্রয়োজনে আরো দুই দিন অবস্থান করতে হবে সেখানে। লন্ডনে নির্বাসিত দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কন্যা এবং পিএমএল-এনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ জানান, ২৭ তারিখের সমাবেশের উদ্দেশ্যে আগামী বৃহস্পতিবার লাহোরে তাঁদের লং মার্চ শুরু হবে।  

সরকারবিরোধী ও সমর্থকদের মুখোমুখি অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন (এসসিবিএ) উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ আদালতের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানায়। প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল ও বিচারপতি মুনিব আকতারের বেঞ্চে শনিবার বিষয়টির ওপর শুনানি হয়।  

শুনানির পর সুপ্রিম কোর্ট চারটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন পিটিআই, পিপিপি, পিএমএল-এন এবং জেইউই-এফের প্রতি আহ্বান জানান, ওই দিন যেন ‘নৈরাজ্য’ তৈরি না হয়।

সূত্র : দ্য ডন 

আরসি-০৩