কিয়েভ ও শেরনিভ থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে রাশিয়া

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ২৯, ২০২২
১০:১২ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ২৯, ২০২২
১০:১২ অপরাহ্ন



কিয়েভ ও শেরনিভ থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে রাশিয়া

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর শেরনিভ থেকে দ্রুত সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে রাশিয়া। রুশ উপ প্রতিরক্ষমন্ত্রী আলেক্সান্দার ফোমিন দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা রিয়া নভোস্তিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধিদের আলোচনা গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হওয়ার জেরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে রিয়া নভোস্তিকে ফোমিন বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ ও পরমাণু অস্ত্রমুক্ত দেশ হিসেবে দেখতে চাই। ইস্তাম্বুলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, সেখানে রাশিয়া স্পষ্টভাবে তার অবস্থান তুলে ধরেছে।’

‘ইউক্রেনকে নিরাপত্তা বিষয়ক নিশ্চয়তা দেওয়ার ব্যাপারও রয়েছে। আমরা চাই ইউক্রেন যেন আমাদের ওপর আস্থা রাখে। পাশপাশি, ইস্তাম্বুলে যে বৈঠক হয়েছে— বিগত বৈঠকগুলোর তুলনায় সেটি বেশ গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’

‘তাই পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি, আলোচনাকে পরবর্তী ধাপে উন্নীত করার মতো উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি এবং ইস্তাম্বুলের বৈঠক যেন আমাদেরকে একটি শান্তিচুক্তির পথে পরিচালিত করতে পারে, সেজন্য সবদিক বিবেচনা করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত কিয়েভ ও শেরনিভ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু হবে।’

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের আমন্ত্রণে মঙ্গলবার দেশটির ইস্তাম্বুল শহরে বৈঠকে বসেছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালের দিকে শুরু হয়েছে এ বৈঠক, শেষ হয়েছে বিকেলে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহকারী ভ্লাদিমির মেডনিস্কি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ইস্তাম্বুলের আলোচনা গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে এবং উভয়দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনে একটি চুক্তি প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়েছে।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার ৫ দিন পর—১ মার্চ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দর লুকাশেঙ্কোর আমন্ত্রণে দেশটির সীমান্তবর্তী শহর গোমেলে শান্তি বৈঠক শুরু হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে।

তারপর থেকে এ পর্যন্ত গোমেলে কয়েকদফা আলোচনায় বসেছেন উভয় দেশের প্রতিনিধিরা, কিন্তু কোনো কার্যকর ফলাফল আসেনি সেসব বৈঠক থেকে।

এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের আমন্ত্রণে বেলারুশের গোমেল শহর থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে স্থানান্তর করা হয় দুই দেশের প্রতিনিধিদের শান্তি সংলাপ। মঙ্গলবার বৈঠকে বসেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা।

বৈঠকের আগে প্রতিনিধিদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। ভাষণে ইস্তাম্বুলের বৈঠকে যেন গোমেলের পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য দুই দেশের প্রতিনিধিদেরই আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান এরদোয়ান।

আরসি-১৬