সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

আগস্ট ০৭, ২০২২
০১:১৬ পূর্বাহ্ন

আপডেট : আগস্ট ০৭, ২০২২
০১:১৬ পূর্বাহ্ন

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সমালোচনা করে বিএনপির নেতারা বলেছেন, ‘তারা রাতের আঁধারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। তারা সকল কাজ রাতের আঁধারে করে কারণ দিনের আলোকে তারা ভয় পায়।’ বক্তারা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তাদের সহযোগীদের নিয়ে লুটপাটের কারণে দেশের রিজার্ভ শূন্য হয়ে গেছে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করার কোন বিকল্প নেই।’

আজ শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেলে নগরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় নগরের কোর্ট পয়েন্ট থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে আম্বরখানায় গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

 সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী, যুগ্ন আহবায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম ও মহানগর যুবদলের আহবায়ক নজিবুর রহমান নজিবের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি ও সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘এই স্বৈরাচারী ও দখলদার সরকারের মানুষের সঙ্গে নূন্যতম কোনো সম্পর্ক নেই। তারা রাতের আঁধারে জ্বালানী তেলের দাম বাড়িয়েছে। তারা সকল কাজ রাতের আঁধারে করে কারণ দিনের আলোকে তারা ভয় পায়। গতকাল শুক্রবারও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী তেলের দাম কমেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু আওয়ামীলীগ এই সময়ে  দাম বাড়িয়েছে। গত ৯ মাসের মধ্যে ডিজেলের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে ১১৪ টাকা বাড়িয়েছে।’ বক্তারা বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ভোলায় মিছিলে গুলি চালিয়ে দুই জনকে হত্যা করেছে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিচার এই বাংলার মাঠিতে হবে ‘

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু ব্যাক্তি রাষ্ট্রের কর্মচারী না হয়ে আওয়ামীলীগের কর্মচারী হয়েছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তাদের জন্য কঠোর দিন অপেক্ষা করছে। আর যারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন তাদেরকে সাদুবাদ জানাই।’ আওয়ামী লীগ তাদের সহযোগীদের নিয়ে লুটপাটের কারণে দেশের রিজার্ভ শূন্য হয়ে গেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করার কোন বিকল্প নেই ‘

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এই সরকার জনগনের কথা চিন্তা না করে তেলের মূল্য বৃদ্ধি করার কারণে মানুষ দিশেহারা। এটাই শেষ প্রতিবাদ নয়। অনতিবিলম্বে তেলের মূল্য কমানো না হলে পরবর্তীসময়ে যে কেনো পরিস্থিতির দায়ভার সরকারকে নিতে হবে। মানুষের অধিকার আদায়ে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।’

সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সরকারের ব্যর্থ জ্বালানি নীতি ও বেপরোয়া লুটপাটের কারণে দেশে এখন ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এক সঙ্গে এত পরিমাণে তেলের দাম বাড়েনি।’ আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে শুরু করে পাতি নেতারাও এখন হাজার কোটি টাকার মালিক মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। তাই এই সংকট থেকে রেহাই পেতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করতে হবে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া এই সংকট সমাধানের কোন বিকল্প নেই।’

এসময় সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির এবং বিভিন্ন অঙ্গসহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এএফ/০৪