রানি এলিজাবেথের মরদেহে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
১০:৩১ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
১০:৩১ অপরাহ্ন



রানি এলিজাবেথের মরদেহে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়েস্টমিনস্টার হলে শবাধারে সংরক্ষিত প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শ্রদ্ধা জানান এবং ল্যাংকাস্টার হাউসে একটি শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি ওয়েস্টমিনস্টার হলে শবাধারে সংরক্ষিত প্রয়াত রানিকে শ্রদ্ধা জানান এবং ল্যাংকাস্টার হাউসে একটি শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।  এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা।

এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যের (ইউকে) সরকারি সফরে লন্ডনে পৌঁছান।

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, সকালে প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রানির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ওয়েস্টমিনস্টার প্যালেসে যান। শেখ হাসিনা ওয়েস্টমিনস্টার প্যালেসের হলে শবাধারে সংরক্ষিত  প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি তাঁর শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

এর আগে ওয়েস্টমিনস্টারে পৌঁছলে ব্রিটিশ স্পিকারের প্রতিনিধি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাকে স্বাগত জানান। পরে তাঁদের ল্যাংকাস্টার হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাংলায় শোকবার্তা লেখেন শেখ হাসিনা।  

শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণ, আমার পরিবার এবং আমার ছোট বোন শেখ রেহানার পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। ’ এরপর প্রধানমন্ত্রীকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তিনি টেলিভিশনের সামনে রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ গত ৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় বিকেলে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্যালেসে মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। জীবনের ৭০ বছর তিনি ব্রিটেনের সিংহাসনে আসীন ছিলেন। এ বছরই তাঁর সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর উদযাপিত হয়েছে।

রানির শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ শেষে একই দিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত।

সূত্র : বাসস


এএফ/০২