বিশ্বকাপ খেলবেন ১৬বছর বয়সী আয়ান

খেলা ডেস্ক


অক্টোবর ১৬, ২০২২
১২:১৩ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ১৬, ২০২২
১২:১৩ অপরাহ্ন



বিশ্বকাপ খেলবেন ১৬বছর বয়সী আয়ান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ১৬ বছর বয়সী ক্রিকেটার আয়ান আফজাল খান।

এখনো পার হয়নি কৈশোর। এ বয়সেই আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মত একটি বড় আসরে খেলবেন তিনি। বলা হচ্ছে ২০০৫ সালে ভারতে জন্ম নেয়া আয়ান আফজাল খানের কথা। যিনি বর্তমানে রয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। অপেক্ষায় আছেন সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে মাঠে নামার।

এর আগে এই ফরম্যাটে সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ড ছিলো পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরের দখলে। তিনি ১৭ বছর ৫৫ দিন বয়সে বিশ্বকাপ খেলতে নেমে রেকর্ড করেছিলেন। তবে আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে একাদশে নাম থাকলে এ রেকর্ড চলে যাবে আয়ান আফজালের দখলে। আজ আয়ানের বয়স ১৬ বছর ৩৩৫ দিন।

আয়ানের জন্মস্থান ভারতের গোয়ায় হলেও সেখানে ছিলেন না বেশিদিন। জন্মের দুই বছর বয়সেই আয়ানের নতুন ঠিকানা হয় মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। বয়স যখন মাত্র পাঁচ, তখন থেকেই বাবার কাছে ক্রিকেটের হাতেখড়ি হয় আয়ানের। ব্যাটিংয়ের প্রথম দীক্ষাটা পেয়েছেন বাবার কাছেই। বাবা স্বপ্ন দেখতেন ছেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবে।

আয়ান সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন গত মাসে (সেপ্টেম্বরে) বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। বিশ্বকাপের আগে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাঁ-হাতি স্লো অর্থোডক্স স্পিন বোলিং করে আয়ান নিয়েছেন তিন উইকেট। প্রথম ম্যাচে তিন ওভার বোলিং করে রান দিয়েছেন মাত্র ১৬। ব্যাট হাতে এক ইনিংসে সুযোগ পেয়ে খেলেছেন ১৭ বলে ২৫ রানের ইনিংস।

জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত এ তরুণ ক্রিকেটার। আইসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক ভিডিওতে আয়ানকে বলতে দেখা যায়, ‘এত অল্প বয়সে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলাটা আমার জন্য স্বপ্ন। এই এমসিজিতে দাঁড়ানোটাও আমার জন্য স্বপ্ন। আমার বয়স যখন ১০-১২ ছিল তখন টিভিতে বিরাট কোহলি, স্টিভেন স্মিথদের মতো ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটারদের এমসিজিতে খেলতে দেখতাম।’

আয়ান আরও বলেন, ‘ক্রিকেট নিয়ে আমার প্রথম স্মৃতি ছিলো ২০১১ সালের বিশ্বকাপ যেখানে মহেন্দ্র সিং ধোনি হেলিকপ্টার শটে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। ওইদিন আমি ভারতকে সমর্থন করছিলাম। ওই টুর্নামেন্টে ভারতের জয় আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিলো। তারা যেভাবে পুরো টুর্নামেন্ট খেলেছিলো সেটা আমাকে আমার জাতির জন্য কিছু করার ও আমার বাবা-মাকে গর্বিত করার প্রেরণা দিয়েছিলো।’

আরএম-০২