সিলেট মিরর ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
০২:১৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
০২:১৬ পূর্বাহ্ন
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট দাবি করেছে, নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া সঙ্গে চিকিৎসক ছেলে জড়িয়ে পড়েছেন বলে জানতেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুর বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও দাবি সন্ত্রাসবিরোধী এ ইউনিটের।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন সিটিটিসিপ্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
শফিকুরের ছেলে রাফাত চৌধুরীকে ৯ নভেম্বর সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাফাত নতুন জঙ্গি সংগঠন শারক্বীয়ার সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক। পরে ওই ঘটনায় ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৩ ডিসেম্বর শফিকুরকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় সিটিটিসি।
শফিকুরের সঙ্গে জঙ্গিবাদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সন্ত্রাসবাদের যে সংজ্ঞা সে অনুযায়ী তাঁর ছেলে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে যাচ্ছে, তিনি সেটা জানতেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাচ্ছেন না। এটাও কিন্তু অপরাধ। তাঁর ছেলে হিজরত করেছে এবং একটি গ্রুপসহ বান্দরবানের পাহাড়ের উদ্দেশে রওনা করেছে। কিন্তু যেতে না পেরে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার সব ব্যবস্থা তিনি করেছেন। এটা সন্ত্রাসবাদে সর্বোচ্চ সহযোগিতা।
তিনি বলেন, জঙ্গি সংগঠন শারক্বীয়ার সঙ্গে সংগঠন হিসেবে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা তা জানতে তাঁকে আরও তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
জঙ্গিবাদ থেকে ফিরিয়ে আনা বা আসার সুযোগ দেওয়ার উদাহরণ আছে। জামায়াতের আমিরের ছেলের ক্ষেত্রে এমন সুযোগ দেওয়া হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি মনে করে এই ছেলে জঙ্গিবাদ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়, পরিবার আবেদন করে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু তাঁর বাবা ডা. শফিকুর সব জানার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাননি। তিনি পুরো বিষয়টি গোপন করেছিলেন।
আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালানো দুই জঙ্গি এখন কোথায় আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বলার এখনও সময় আসেনি। দেশেই আছে, এখনও দেশ থেকে পালাতে পারেনি।
শারক্বীয়ার দুই সদস্য গ্রেপ্তার: সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান জানান, শারক্বীয়ার সক্রিয় দুই সদস্যকে বুধবার গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলো- সিলেটের ওসমানী নগরের দয়ামীর বাজার এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম তুহিন (২১) এবং চাঁদপুর জেলার আলপি পাঁচগাঁওয়ের নূরুল হক ভূঁইয়ার ছেলে মো. নাঈম হোসেন (২২)।
তুহিন জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সিলেট থেকে যাওয়া চারজন ক্যাম্পে থাকার সময় চলে আসতে চাইলে তাদের গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অভিযানের ফলে ২৫ নভেম্বর তারা সমতলে ফিরে আসে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে গ্রেপ্তার করা হয়।
এএফ/০১