সিলেট মিরর ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
০৪:৩০ পূর্বাহ্ন
রাজধানীর মাতুয়াইলে এক পুলিশ সদস্যের বাসায় লামিয়া আলম (২২) নামের এক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
লামিয়ার মায়ের অভিযোগ, পুলিশ কনস্টেবল সোহাগ হোসাইন লামিয়াকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একসঙ্গে থাকলেও বিয়ে করেননি। এ কারণেই আজ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সোহাগের বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে মারা যান লামিয়া। একই কারণে আগেও সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
এর আগে দুপুরে লামিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। লামিয়া রাজধানীর একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করতেন। তাঁর বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ার তরগাঁওয়ে।
লামিয়ার স্বজনদের ভাষ্যমতে, চার বছর আগে সোহাগের সঙ্গে লামিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন সোহাগ গাজীপুরে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে চাকরি করতেন। সম্প্রতি ঢাকায় বদলি হয়ে মাতুয়াইলে আবদুল লতিফ কলেজ–সংলগ্ন একটি বাড়ির পঞ্চমতলায় বাসা ভাড়া নেন। লামিয়াকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে সোহাগ তাঁর বাসায় রাখতেন। স্বজনেরা কয়েক দিন আগে তা জেনেছেন। গত বছরের জানুয়ারিতে রাজধানীতে একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন লামিয়া।
লামিয়ার মা মঞ্জু বেগম বলেন, গত বৃহস্পতিবার সোহাগের বাসায় তাঁর মেয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সোহাগ চিকিৎসা করিয়ে লামিয়াকে তাঁর খালার বাসা মুন্সিগঞ্জে রেখে আসেন। এ খবর পেয়ে তিনি (মা) শুক্রবার মুন্সিগঞ্জ যান। গত রোববারে লামিয়াকে ফোন করে সোহাগ তাঁর বাসায় আসতে বলেন। পরে লামিয়ার সঙ্গে তিনিও সোহাগের বাসায় আসেন। আজ সকালে সোহাগ কর্মস্থলে যান। পরে লামিয়ার সঙ্গে সোহাগ দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। এ সময় তিনি রান্নায় ব্যস্ত ছিলেন।
মঞ্জু বেগমের ভাষ্য, রান্না শেষে বেরিয়ে এসে লামিয়ার ঘরের দরজা বন্ধ পান তিনি। পরে ধাক্কা দিলে দরজা খুলে যায়। দেখেন লামিয়া সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছেন। দ্রুত নামিয়ে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সোহাগও হাসপাতালে আসেন।
এদিকে লামিয়াকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পর সোহাগ পালিয়ে যান বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্ব থাকা পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুল আলম বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে ওই পুলিশ সদস্যের কর্মস্থল কোথায় জানেন না। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
এএফ/০৮