সিলেট মিরর ডেস্ক
মার্চ ০১, ২০২৩
০৮:০৭ অপরাহ্ন
আপডেট : মার্চ ০২, ২০২৩
০৫:২২ অপরাহ্ন
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনাসহ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিংয়ের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আদালত বলেছে, ছাত্ররাজনীতির যে গৌরবোজ্জ্বল অতীত রয়েছে, সেটিকে ধ্বংস করার জন্য কিছু খারাপ মানুষ রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে র্যাগিংসহ অসামাজিক কাজ করে আসছে। এগুলো দুঃখজনক। এটা চলতে দেয়া উচিত নয়।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ পর্যবেক্ষণ দেয়।
এর আগে ওই বেঞ্চ ইবির ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে হলের প্রভোস্ট শামসুল আলমকে প্রত্যাহার করাসহ পাঁচটি নির্দেশনা দেয় বেঞ্চটি। বহিষ্কারের আদেশ পাওয়া ছাত্রীরা হলেন সানজিদা চৌধুরী অন্তরা (পরিসংখ্যান বিভাগ, সেশন: ২০১৭-২০১৮), হালিমা আক্তার ঊর্মি (চারুকলা বিভাগ, সেশন: ২০২০-২০২১), ইসরাত জাহান মিম (আইন বিভাগ, সেশন: ২০২০-২০২১), তাবাসসুম ইসলাম (ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ, সেশন: ২০২০-২০২১) ও মুয়াবিয়া জাহান (ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ, সেশন: ২০২০-২০২১)। তাদের ক্যাম্পাসের বাইরে রাখতে বলা হয়েছে।
আদালত আদেশে আরও বলেছে, ভুক্তভোগী ফুলপরীকে তিন দিনের মধ্যে সিট বরাদ্দ দিতে হবে। তার নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি এ ঘটনায় সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী গাজী মো.মহসীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
আদালত বলে, ‘দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এভাবে র্যাগিংয়ের নামে অন্যায় কাজ চলতে দেয়া যায় না।’
বুয়েটে আবরার হত্যার পর ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছিল। সে বিষয়টি তুলে ধরে হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলে, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে র্যাগিং বন্ধে মুচলেকা নেয়া প্রয়োজন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং বন্ধে হাইকোর্টের বুধবারের আদেশকে মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন রিটকারী আইনজীবী গাজী মো. মোহসিন।
এসই/০৬