হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি


মে ০৯, ২০২৩
০৯:২৪ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ০৯, ২০২৩
০৯:২৪ অপরাহ্ন



হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ২ জনের


হবিগঞ্জে সালিশ বিচারক তোতা মিয়া হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে আরও ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৯ মে) হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. আজিজুল হক এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন ভিংরাজ মিয়া, সিজিল মিয়া, ফজল মিয়া, জিতু মিয়া ও শাহ আলম। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন ইউনুছ মিয়া ও আব্দুল্লাহ মিয়া। এছাড়াও আরও ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। মামলার বাকি ১৯ জন আসামীকে বেকসুর খালাস পান।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী মো. নূরুজ্জামান। তিনি বলেন, ১৫ জন সাক্ষির স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সঠিক বিচার পেয়ে আমরা সন্তুষ্ট। এর মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, সদর উপজেলার দীঘলবাক গ্রামের চলাচলের রাস্তার কিছু অংশ দখল করে টয়লেট নির্মাণ করেন একই গ্রামের শাহ আলম। টয়লেটের ময়লাও তিনি রাস্তায় ছেড়ে দেন। এমনকি পার্শ্ববর্তী কবরস্থানের কিছু অংশ কেটে তিনি নিজের জমির সঙ্গে মিশিয়ে নেন। এ নিয়ে গ্রামবাসী প্রতিবাদ জানান। বিষয়টি দেখে দেওয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সালিশ বৈঠক আয়োজন করেন। কিন্তু তা মানেননি শাহ আলম। উল্টো রাস্তা দখল করে মাঁচা বেঁধে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেন।

পরবর্তীতে স্থানীয় মুরুব্বী ও সালিশ বিচারক তোতা মিয়াসহ কয়েকজন আইনের দোহাই দিয়ে তাকে রাস্তা বন্ধ করতে নিষেধ করেন। তখন তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাহ আলম উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে শাসান। ২০১৪ সালের ১ আগস্ট দুপুরে তিনি দলবল নিয়ে তোতা মিয়ার উপর হামলা চালান। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন ২ আগস্ট তার ছেলে আব্দুল কাইয়ূম বাদি হয়ে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট জমা দেন। এর প্রেক্ষিতে ১৫ জন সাক্ষির স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক মঙ্গলবার উল্লেখিত রায় দেন।


এসআরটি-০১/এএফ-০৭