প্রেমের টানে হাজার কোটি টাকা ত্যাগ মালয় তরুণীর

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ১৭, ২০২৩
০৪:০৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ১৭, ২০২৩
০৪:০৩ পূর্বাহ্ন



প্রেমের টানে হাজার কোটি টাকা ত্যাগ মালয় তরুণীর


প্রেমের জন্য ত্যাগের ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। প্রেম-ভালোবাসা জন্য সর্বস্ব ত্যাগের ঘটনা ঘটে চলছে প্রায় প্রতিনিয়তই। মানের মানুষের সঙ্গে ঘর বাঁধতে বাড়ি-ঘর আর ধন-সম্পদ ছেড়ে বেরিয়ে পড়ার কাহিনী এই পৃথিবীতে রয়েছে ভুরি ভুরি। আর তেমনই এক উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন মালয়েশিয়ার এক নারী। প্রেমিকের জন্য ছেড়েছেন হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি।

এতো বিশাল সম্পত্তি ছেড়ে প্রেমিককেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়া তরুণীর নাম অ্যাঞ্জেলিন ফ্রান্সিস। বাড়ি মালয়েশিয়াতে। তার বাবার খু কে পেং মালয়েশিয়ার অন্যতম শীর্ষ ধনকুব। আর উত্তরাধিকার সূত্রে ২ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক অ্যাঞ্জেলিন। 

প্রেমের টানে প্রেমিকার সঙ্গে থাকতে এক লহমায় ছেড়ে দিয়ে নতুন সংসার শুরু করেছেন তিনি। স্বামীর নাম জেডিদিয়াহ। অক্সফোর্ডে পড়ার সময় দু'জনের দেখা হয়। ধীরে ধীরে একে অপরের প্রেমে পড়েন তাঁরা। অ্যাঞ্জেলিনের বাবা এই প্রেমে আপত্তি তোলেন। বিত্তশালী পরিবারেই মেয়ের বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তাই সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি ছিলেন না তিনি।

মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলের সঙ্গে মেয়ে প্রেম করছে জানার পর থেকেই অ্যাঞ্জেলিনকে চাপ দেন বাবা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার। অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়েও কাজ না হওয়ায় মেয়েকে ডেকে চরম কথাও শুনিয়ে দেন। জেডিদিয়াহকে বিয়ে করলে সম্পত্তি থেকে বাদ। কিন্তু বাবার এমন হুঙ্কারে উল্টো বেকে বসেন অ্যাঞ্জেলিন। সিদ্ধান্ত নেন সব ছেড়ে প্রেমিকের কাছেই যাবেন তিনি। 

বিপুল সম্পত্তির কোনও প্রয়োজন নেই বলে বাবাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। এরপরই নতুন সংসার শুরু করতে জেডিদিয়াহের সঙ্গে থাকা শুরু করেন মালয়েশিয়ার এই তরুণী। পাশাপাশি আদালতে গিয়ে পাকাপাকিভাবে এই নিয়ে সাক্ষ্যও দেন ফ্রান্সিস। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন এই যুগল। আপাতত ঘর গুছাতে ব্যস্ত তারা। 

উল্লেখ্য, প্রেমের উপখ্যান রচনায় দুই দিন আগে ইন্দোনেশিয়া শিরোনাম হয়েছিল। দেশটির ৪১ বছরের নারী মারিয়ানা ১৬ বছরের এক কিশোরকে বিয়ে করে শিরোনাম হন। বয়সে অনেক ছোট স্বামীর সঙ্গে দিব্যি এক ফ্রেমে ধরাও পড়েছেন তিনি। মারিয়ানার আছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ব্যবসা। যার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে, সেই ছেলেটির মায়ের সঙ্গে বন্ধু ছিলেন মারিয়ানা।


এএফ/০১