দিরাইয়ে ভাতিজাকে পিটিয়ে হত্যা করলেন চাচা

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
১২:৪২ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
০১:১৫ অপরাহ্ন



দিরাইয়ে ভাতিজাকে পিটিয়ে হত্যা করলেন চাচা


সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায় বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে মাদ্রাসা ছাত্র ইমরান (১২) কে পিটিয়ে হত্যা করেছে আপন চাচা ও তার ছেলেরা।

নিহত ইমরান হোসেন উপজেলার টংগর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র।

গত মঙ্গলবার টংগর গ্রামের মৃত দিয়ানত উদ্দিনের ছেলে আবুল খায়ের ও আবুল কাশেমের মাঝে বসত বাড়ির সীমানা নিয়ে ঝগড়াঝাটি হয়।এসময় আবুল খায়ের ও তার ছেলেদের বেধরক মারপিটের কারনে আবুল কাশেম ও তার ছেলে ইমরান(১২) মেয়ে রিনা বেগম (২১) মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতরা দিরাই উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য  আসলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকেই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় পরদিন বুধবার বিকেল চারটায় ইমরান মারা যায়।

দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মনি রানী তালুকদার জানান, বেধরক মারপিটে জখমী ইমরানের মাথার খুলি ভাঙ্গাসহ  তিনজনই প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত ছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহত ইমরানের বাবা আবুল কাশেম জানান, আমি দিরাই বাজারের একটি হোটেলে কাজ করি।বসতঘরের সীমানা নিয়ে আমার ভাইয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল, মঙ্গলবার আমি বাড়িতে গেলে  আমার ভাই, ভাতিজা, ভাগনা মিলে আমার বসত ঘরে এসে লাঠিসোটা নিয়ে সবাইকে মারধর শুরু করে। এসময় তাদের মারপিটে আমি আমার মেয়ে ও ছেলে আহত।আমরা দিরাই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসলে তারা সিলেট ওসমানীতে প্রেরন করে। আমি সিলেট যাওয়ার আগে দিরাই থানায় গিয়ে বিষয়টি জানালে আগে চিকিৎসা করানোর কথা বলে পুলিশ। 

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মুক্তাদির হোসেন বলেন, টংগর গ্রামের দুই সহোদরদের মাঝে বসতঘরের সীমানা নিয়ে মারামারিতে একটি ছেলে চিকিৎসারত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুধবার বিকেলে মারা গেছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা করছে।এখনও মামলা হয়নি।

এদিকে নিহত ইমরানের পরিবার সূত্রে জানা যায়,বুধবার বিকালে চিকিৎসারত অবস্থায় ইমরান মারা যায়, ওসমানী মেডিকেলে ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিরাই থানা পুলিশকে মৃতদেহ দেখিয়ে বাড়িতে নেওয়া হয়।রাত আটটায় জানাযা নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে। 


এএফ/০২