আফগানিস্তানে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্প

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ১৫, ২০২৩
১২:১৮ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ১৫, ২০২৩
১২:১৮ অপরাহ্ন



আফগানিস্তানে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্প


আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে আবারও ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

আজ রবিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে এ ভূমিকম্প হয়। খবর: এএফপি’র

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, হেরাত প্রদেশের রাজধানী শহর থেকে ৩৩ কিলোমিটার পশ্চিমাঞ্চলে রোববারের ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়।

হেরাতের একই এলাকায় গত কয়েকদিনের ভূমিকম্পে অন্তত এক হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

এর আগে গত বুধবার (১১ অক্টোবর) শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। এর আগে গত শনিবার (৭ অক্টোবর) শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে দেশটিতে।  এতে এ পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন।

তবে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। এই অঞ্চলের সব কিছু ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গ্রামগুলোর সামান্যই অবশিষ্ট আছে। ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি হেরাত প্রদেশের রাজধানীর বাইরে প্রায় ২৮ কিলোমিটার (১৭ মাইল) এবং ১০ কিলোমিটার (ছয় মাইল) গভীরে ছিল।

এর আগে শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে প্রথমে ৬ দশমিক ৩ তীব্রতার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আফগানিস্তানে আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পের পর দেশটিতে ৫ দশমিক ৫, ৪ দশমিক ৭, ৬ দশমিক ৩ ও ৫ দশমিক ৯ মাত্রার চারটি শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়। 

নায়েব রাফিতে একটি গ্রামে আগে প্রায় দুই হাজার ৫০০ জন বাসিন্দা ছিল। তবে এখন মানুষ বলছে, ভূমিকম্পের সময় বাইরে কাজ করা পুরুষ বাদে আর প্রায় কেউই এখন জীবিত নেই।

জীবিতরা সারা দিন গণকবরের জন্য কবর খনন করছে। জিন্দা জান জেলার একটি মাঠে বুলডোজারের সাহায্যে সারি সারি কবর খনন করা হচ্ছে। 

হেরাত শহরের মীর আগা বলেন, ‘বিধ্বস্ত বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করা এবং এর কয়েক মিনিট পর তাকে আবার মাটির নিচে রেখে আসা খুবই কঠিন।’ স্থানীয়দের সাহায্য করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। গত শনিবারের ভূমিকম্পে ২০টি গ্রামের প্রায় দুই হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে দেশটির তালেবান সরকার জানিয়েছে।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মাত্র একটি সরকারি হাসপাতাল রয়েছে।

তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ভূমিকম্পের পর হেরাতজুড়ে দুই হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে। তারা পরবর্তী সময়ে আবার বলেছেন, ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে; কিন্তু হতাহতের সঠিক সংখ্যা উল্লেখ করেননি। 


এএফ/০৩