স্বপ্নে কেন দৌড়াতে পারেন না?

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ৩০, ২০২৩
০১:৩০ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ৩০, ২০২৩
০১:৩০ অপরাহ্ন



স্বপ্নে কেন দৌড়াতে পারেন না?


দুঃস্বপ্ন কাকে বলে? স্বপ্নে যখন খুব ভয়ংকর বিপদের মুখোমুখি হই, কিছুতেই তা থেকে পরিত্রাণের উপায় মেলে না, তখনই আসলে দুঃস্বপ্ন জেঁকে বসে। কিন্তু দুঃস্বপ্নের মাত্রাটা বাড়িয়ে দেয় আপনার দৌঁড়াতে না পারার অক্ষমতা। হয়তো দেখছেন ভয়ংকর কোনো সাপ তাড়া করছে আপনাকে, কিংবা দুর্ধর্ষ কোনো খুনি। তখন আপনি কী করবেন? নিশ্চিতভাবেই দৌড়ানোর চেষ্টা করবেন।

কিন্তু স্বপ্নে ও চেষ্টা করে লাভ নেই। কারণ, চাইলেও আপনি স্বপ্নে দৌড়াতে পারবেন না। অথচ দেখবেন, আপনার সামনে দিয়ে অন্যরা দৌড়ে মাইলকে মাইল পার হচ্ছেন। আবার আপনি উড়তে পারবেন, অনেক কাজ করতে পারবেন, কিন্তু দৌড়াতে পারবেন না।

কেন?

ঘুমের বেশ কয়েকটা পর্যায় আছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো রেম। মানে র‌্যাপিড আই মুভমেন্ট। এ পর্যায়ে মানুষ স্বপ্ন দেখেন।

ঘুমের এই পর্যায়টা কিছুটা অদ্ভুত। কারণ, এ সময় শরীর অসাড় হয়ে থাকে, পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীর মতো। আবার চোখ নড়েচড়ে, হৃদস্পন্দনের গতিও এ সময় বেশি থাকে। এ সময় মস্তিষ্ক থেকেও পাওয়া অল্প কিছু সংকেত শরীরে পৌঁছায়, বাকিটা পৌঁছায় না। এ সময়ই আসলে মানুষ স্বপ্ন দেখে।

ঘুমের এ পর্যায়ে মস্তিষ্ক থেকে বেশকিছু হরমোন নিঃসরণ বন্ধ থাকে। সেগুলো নরএপিনেফ্রিন, সেরাটোনিন ও হিস্টামিন। এসব হরমোনের অন্যতম কাজ মস্তিষ্ক থেকে শরীরেরে বিভিন্ন অঙ্গে নড়াচড়া করার সংকেত বয়ে নিয়ে যাওয়া। এসব সংকেত পেলেই তবে অঙ্গগুলো কাজ করে। কিন্তু এসব হরমোন নিঃসৃত হয় না বলে ঘুমের এ পর্যায়ে আমরা নড়াচড়া করতে পারি না। দ্রুত নড়াচড়ার অনুভূতিটিও তাই এ সময় মস্তিষ্কে কাজ করে না।

এ সময় যদি স্বপ্ন দেখেন, তাহলে সেই স্বপ্ন ধীরগতির হবে। অর্থাৎ হাঁটতে পারবেন, তবে সেটি খুব দ্রুত নয়। দৌড়ানো, কাউকে দ্রুত আঘাত করার মতো স্বপ্ন এ সময় দেখতে পারবেন না। কারণ, দ্রুত নড়াচড়ার অনুভূতিটিই আপনার মাথায় কাজ করবে না তখন। কিন্তু উড়তে পারবেন। আসলে ঘুমের মধ্যে যে উড়ছেন, কীভাবে উড়ছেন, সেই যুক্তিবোধ তখন কাজ করে না। তাই যেটিকে আপনি ওড়া ভাবছেন সেটি ঠিক ওড়া বলা চলে না। এই মুহূর্তে আপনি এক জায়গায় রয়েছেন, পরের মুহূর্তে হয়তো আরেক জায়গায় আবিষ্কার করলেন নিজেকে, এটাকে স্বপ্নে ওড়া বলে মনে হলেও বাস্তবের ওড়ার মতো কোনো ব্যাপার নয় এটা।

সূত্র: সাইকোলজি টুডে


এএফ/০১