নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
১০:০৯ অপরাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
১০:১০ অপরাহ্ন
-ফাইল ছবি
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘ওরা ঘরে বসে অংক কষে। ওরা একটা আজগুবি নাম্বার বের করেছে কিছু বাহবা পাওয়ার জন্য।’ তিনি বলেন, ‘ওরা যদি সত্যিকারের অর্থনীতিবিদ হতেন তাহলে এরকম ডাহা একটা নম্বর (তথ্য) দিয়ে দিতেন না। যদি সত্য কথা বলতে পারতেন তাহলে আমাদের জন্য উপকার হতো। তখন উই সোড কারেক্টিভ অ্যাকশন।’
আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট নগরের আম্বরখানায় নির্বাচনী প্রচারকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী ড. আব্দুল মোমনে এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিপিডিতে যারা আছেন, তাদের সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, রাশিয়াটা বড় দেশ ছিল, ধ্বংস হয়ে গেল রাশান ইকনোমিক্সের কারণে, বিশাল দেশটা ধ্বংস হয়ে ১৯টা দেশ হলো। অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের যারা সিপিডিতে আছেন অনেকেই হচ্ছেন রাশান ইকনোমিস্ট। ওরা ঘরে বসে অংক কষে। ওরা একটা আজগুবি নাম্বার বের করেছে কিছু বাহবা পাওয়ার জন্য।’
সঠিক তথ্য দিলে সেটিকে গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি সত্যি সত্যি উনাদের কাছে কোনো হিসাব থাকে-উই এক্সেপ্ট হিম। আমরা গ্রহণ করব, যদি তথ্য ভিত্তিক, বস্তুভিত্তিক হয়ে থাকে।’ তিনি বলেন, ‘ওরা একেক সময় একেক গল্প বানায়। আর গল্পটাকে ছড়ায়। যেমন ওরা বলেছেন যে, ২৩ থেকে সাড়ে ২৩ হাজার টাকা শ্রমিকদের দিতে হবে। তাহলে তো আমার সব ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবে। এটা তো আমেরিকা না যে অমুকে বললে হয়ে গেল। আমেরিকাও তো অত দিতে পারবে না। তিনগুন বাড়ানো...। আমি বলেছি যে, তেইশ হাজার যদি বাড়াতে হয় মানে এখন আট হাজার টাকার প্রায় তিনগুন। আমেরিকার নিউ ইয়র্কে ১৫ ডলার, এখন যদি বাড়িয়ে ৪৫ ডলার করে তবে লোকের আর চাকরি থাকবে না। এখানেও লোকের চাকরি থাকবে না, ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবে।’
দেশকে ধ্বংস করতে সিপিডি কাজ করে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘দেশটাকে উনারা ধ্বংসের জন্য কাজকর্ম করেন। খুবই দুঃখজনক। ওরা যদি সত্যিকারের অর্থনীতিবিদ হতেন তাহলে এরকম ডাহা একটা নম্বর (তথ্য) দিয়ে দিতেন না। যদি সত্য কথা বলতে পারতেন তাহলে আমাদের জন্য উপকার হতো। তখন উই সোড কারেক্টিভ অ্যাকশন। এগুলো বেশি বাড়াবাড়ি করে বলা, বলার জন্য বলা। আর আপনারা মিডিয়ার অ্যাট্রাকশন পাওয়ার জন্য।’
দেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য উদগ্রীব জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সারা দেশ নির্বাচন নিয়ে উদগ্রীব। সবাই খুব খুশি, তারা ভোট দেওয়ার জন্য বসে আছে। ইনশাল্লাহ সবাই দলে দলে ভোট দিতে আসবে। আমরা চাই অধিক সংখ্যাক লোক উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিক। আর যারা বর্জনের কথা বলছে তারা দেখবেন চুপি চুপি ভোট দিয়ে যাবে।’
সংসদ নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে মুখিয়ে আছে জানিয়ে তিনি ভোটারদের নিশ্চিন্ত মনে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়ার আহবান জানান। ভোটের দিনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা, একেবারে শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। ওটার কোনো ভয় নেই, কোনো ব্যাত্বয় হবে না।’ বর্জনের আহ্বানকারীরা সংখ্যায় নগন্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, যারা বর্জন করার কথা বলছে, তারা সংখ্যায় অত্যন্ত নগন্য। ওরা শুধু টেলিভিশন এবং মিডিয়াতে আছে, আর কোথাও নেই। সুতরাং কারো ভয়ের কোনো কারণ নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এবার কোনো কেন্দ্রে কোনো ধরণের হয়রানি কিংবা নিরাপত্তা বিঘ্নের কোনো কারণ থাকবে না। সুতরাং নিশ্চিন্তের সবাই দলে দলে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন, এতে কোনো ভয় নাই।’
কিছু লোক গুজব ছড়াতে ব্যস্ত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আর কিছু লোক গুজব ছড়াচ্ছে, এগুলো কয়েকদিন পর পর প্রপাগান্ডা ছড়ায় যে ১০ তারিখ শেষ, নতুন সরকার আসবে। একেকটা কাহিনী কয়েক দিন পর পর ছড়ায়। এগুলো এক্কেরে ভূয়া। ওগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।’
এএফ/০৪