নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
০৭:৪২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেছেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন দক্ষ নাগরিক। মানবিকতা সম্পন্ন দক্ষ নাগরিকই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম কারিগর। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কাজ করছে। এ জন্য চারটি বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। সরকারের লক্ষ বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন দফতর কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট দফতরে নাগরিক সেবার মান বাড়াতে হবে। এ জন্য সেবা প্রত্যাশীদের তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ ও সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান সম্পর্কে অংশীজন সমন্বয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আমিনুল এহসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা আক্তার শিমুল, স্থানীয় সরকারের বিভাগের উপপরিচালক সুবর্ণা সরকার। সহকারী কমিশনার নিশাত আনজুমের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেন।
কর্মশালায় সামসুল আরেফিন আরও বলেন, সরকার নিরাপদ তথ্য সংরক্ষণের লক্ষে শিগগির সাইবার সিকিউরিটি করা হচ্ছে। সাইবার সিকিউরিটির মাধ্যমে বিভিন্ন দফতরের তথ্য সুরক্ষা করা হবে। এই জন্য প্রয়োজন হবে ডিজিটাল সিগনেচার। স্মার্ট সরকারের জন্য প্রয়োজন হবে পেপারলেস কার্যক্রম। সরকারের বিভিন্ন নথিপত্র এখন ডিজিটালভাবে সংরক্ষণ হয়ে থাকে। একইভাবে স্মার্ট অর্থনীতি গড়তে বাড়বে কেশলেস কার্যক্রম। পেপারলেস গভর্নমেন্ট ও কেশলেস ইকোনোমির কাজ আরও গতিশীল ও দ্রæত করতে সহায়ক হবে ডিজিটাল সিগনেচার। সকল ধরণের ডাটা সংরক্ষণের জন্য দু’টি ডাটা সেন্টার করা হচ্ছে। এসব ডাটা সেন্টারের সাইবার অ্যাটাক্ট প্রতিরোধ করবে সাইবার সিকিউরিটি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সাইবার সিকিউরিটি ও ডিজিটাল সিগনেচারের বিকল্প নেই।
প্রযুক্তিতে যদি আমরা দক্ষতা অর্জন করতে না পারি তবে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা সম্ভব নয়। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে আমাদের যে ছেলে-মেয়েরা যায় সেখানে তারা দক্ষতার অভাবে প্রত্যাশিত বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে পারে না। একজন দক্ষ ব্যক্তি যে পরিমান অর্থ পায় অদক্ষ ব্যক্তি তার চেয়ে অনেক কম পায়। যত বেশি দক্ষ ব্যক্তিকে প্রবাসে যাবে দেশ তত বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে।
সিলেট একটি সম্ভাবনাময় স্থান উল্লেখ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব বলেন এখানকার প্রচুর প্রবাসী কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে বাসা-বাড়ি নির্মাণ করেন। যা অর্থনীতির উন্নয়নে কোনো কাজে আসেনা। কয়েক প্রবাসী মিলে যদি একটি শিল্পকারখানা গড়ে তুলতেন তাহলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হতো। পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃস্টি হতো বেকার জনগোষ্ঠির। তিনি অলস খাতে টাকা ব্যয় না করে উৎপাদন খাতে অর্থ বিনিয়োগের জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান।
এএন/০৩