সিলেট মিরর ডেস্ক
                        জানুয়ারি ১৯, ২০২৪
                        
                        ১১:৪৫ অপরাহ্ন
                        	
                        আপডেট : জানুয়ারি ২০, ২০২৪
                        
                        ০১:৪৪ অপরাহ্ন
                             	
                        
            
    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক যে বক্তব্য দিয়েছে, তা নিয়ে সামান্যতম কোন অস্বস্তিতে নেই আওয়ামী লীগ সরকার। তাদের এসব কথা নিয়ে চিন্তিত নয় সরকার।
আজ শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আছে। সম্পর্ক আরও ভালো করার জন্য আমরা যথেষ্ট ধৈর্যশীল। আর বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। 
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়া ছিল দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ। নির্বাচনের পরেও বিএনপির নেতৃত্বে চিহ্নিত অপশক্তি নির্বাচনকে বিতর্কিত করার পায়তারা করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অগণতান্ত্রিক পন্থায় অনির্বাচিত কাউকে ক্ষমতায় বসাতে দেশি-বিদেশি অপতৎপরতা ছিল। এখন নেই- সেটা বলা যায় না। 
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, নির্বাচিত সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন সম্ভব। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হত। তবে তাদের অনুপস্থিতিতেও নির্বাচন ভোটারশুন্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন হয়নি। 
এ সময় বিএনপির চুপ থাকা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা এখন শক্তি সঞ্চয় করছে বড় ধরনের সহিংসতার জন্য। তাদের প্রতি নতুন করে আর কোনো আহ্বান আমাদের নেই। তারা নেতিবাচক রাজনীতি থেকে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে আসুক এটাই চাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সমস্যা নিয়েই এখন শেখ হাসিনা সরকারের সব ভাবনা। ফেলে যাওয়া সংকট নিয়ে সময় ক্ষেপণ করার সময় আমাদের নেই। দায়িত্বশীল পদে যারা রয়েছেন, তাদের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলা উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
এএফ/০৩