প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীকে সিলেটে নাগরিক সংবর্ধনা

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ০২, ২০২৪
১১:৩০ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ০২, ২০২৪
১১:৩০ অপরাহ্ন



প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীকে সিলেটে নাগরিক সংবর্ধনা


প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘সিলেটের মাটি শেখ হাসিনার ঘাটি। আপনারা সিলেটের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়েছেন আর এর প্রতিদান হিসেবে আপনাদের শফিকুর রহমান চৌধুরীকে শেখ হাসিনা মন্ত্রী করেছেন।’

আজ শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে নগরের কিনব্রিজ সংলগ্ন সুরমা নদীর তীরে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘এক সময় সিলেটে সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব আমি পালন করেছিলাম। তখন এক নাগাড়ে ২১ দিন সিলেটে ছিলাম। সেদিন সাইফুর রহমান ঘোষণা করেছিল সিলেটের মানুষ আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দিবে না। কিন্তু সিলেটের মানুষ সেদিন ঐক্যবদ্ধ হয়ে, কাতারবদ্ধ হয়ে সেই বদর উদ্দিন কামরানকে বিজয়ী করে প্রমাণ করেছিল সিলেটের মাটি বঙ্গবন্ধুর ঘাঁটি, সিলেটের মাটি শেখ হাসিনার ঘাঁটি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে এই সিলেটে সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচনেও আপনারা আনোয়ারুজ্জামানকে মেয়র নির্বাচিত করেছেন। এই সিলেটের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায়, এই অঞ্চলের মানুষ শেখ হাসিনাকে ম্যান্ডেট দিয়েছেন এবং তারই পুরষ্কার হিসেবে শফিকুর রহমানকে মন্ত্রী হিসেবে আপনাদের উপহার দিয়েছেন। ’

সিলেটের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমার ৭ বছর কাজ করবার সুযোগ হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালে যখন ভয়াবহ সংকট চলছিল, যখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঘর থেকে তুলে নিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল। সেই সময় সিলেটে সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে ছিল, আওয়ামী লীগের ৩৬ হাজার নেতাকর্মী তাদের সংসার থেকে হারিয়েছিল। তখন লক্ষীপুরের এক আওয়ামী লীগ নেতার এক চোখ উপড়ে ফেলে তার বুকের উপর পাড়া দিয়ে বলেছিল আর জয় বাংলা বলবি কি না, বল? যদি জয় বাংলা বলিস তাহলে তর আরেক চক্ষু উপড়ে ফেলবো। তখন সে বলেছিল আমার আরেক চক্ষু কেন আবার জীবনও যদি চলে যায়, তাহলেও আমি জয় বাংলা ছাড়বো না। এই ধ্বনি আমি দিয়েই যাবো।’

তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচনের বিরুদ্ধে ছিল, নির্বাচন হবে না বলেছিল, হুমকি দিয়েছিল, ভয়ভীতি দেখিয়েছিল, তাদের মুখের ওপর শেখ হাসিনা বলেছিলেন বাংলার মাটি আমার পায়ের নিচে আছে, মানুষ আমার সাথে আছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা সেটা ভয় পায় না। নির্বাচন হয়েছে। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়েছেন তিনি। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই শফিক, আনোয়ার, হাবিব রনজিতরা এখানে এমপি হয়েছেন।’

সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী নির্বাচিত করায় সিলেটের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমাকে যে মন্ত্রীত্ব দেওয়া হয়েছে এটা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব, সিলেটবাসীর কৃতিত্ব, বিভাগের কৃতিত্ব। আমি শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে বেঁচে থাকতে চাই, আপনাদের ভাই-বন্ধু হিসেবে বেঁচে থাকতে চাই।’

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আশফাক আহমদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক।

অনুষ্ঠান বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাউর রহমান, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিৎ সরকার এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব এমপি, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

এছাড়াও সংবর্ধনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় পরিষদ সদস্য নুরুল আমিন, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. নিজাম উদ্দিন, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, অ্যাডভোকেট. শাহ মো. মোসাহিদ আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম কামাল, মোহাম্মদ আলী দুলাল, কবীর উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, সাইফুল আলম রুহেল।

বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট সদর উপজেল আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক আহমদ, ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান, বালাগঞ্জ উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান মফুর, সাধারণ সম্পাদক মো. আনহার মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজদ, গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া হেলাল, কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান, জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান আহমদ চৌধুরী, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামাল আহমদ, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছিত টুটুল।

জেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এজাজুল হক এজাজ,  জেলা মহিলা লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা সুলতানা, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম, জেলা যুব লীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফছর আজিজ, সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহমদ কয়েছ, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন দেব নাথ, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল কান্তি দাস।

সভায় জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেটআজমল আলী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক আহমদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. মবশ্বির আলী, ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, দফতর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী রইছ আলী, বন ও পরিবেশ  বিষয়ক সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশ,  শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন আহমদ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ সাকির আহমদ (শাহীন), উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. মজির উদ্দিন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদাল মিয়া, অ্যাডভোকেট বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, মো. আব্দুল বারী, মো. জাকির হোসেন, এড. আফসর আহমদ, অ্যাডভোকেট. ফখরুল ইসলাম, গোলাপ মিয়া, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হেলেন আহমেদ, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, জেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাকীম দিনা আক্তার প্রমুখ।

সভায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক, গীতা পাঠ করেন জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল কান্তি দাস।

অনুষ্ঠান শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট লোক সংগীত শিল্পী শাহনাজ বেলী, আশিক এবং স্থানীয় লোক সংগীত শিল্পীবৃন্দ।


এএফ/০৬