বৃষ্টি ও মাটি ধসে সিকিমে আটকা ১৫০০ পর্যটক, নিহত ৬

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ১৪, ২০২৪
০১:৫৫ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ১৪, ২০২৪
০১:৫৫ অপরাহ্ন



বৃষ্টি ও মাটি ধসে সিকিমে আটকা ১৫০০ পর্যটক, নিহত ৬


ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিম ভারী বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত। রাজ্যটির উত্তরাঞ্চলে বন্যা ও প্রবল ভূমিধসে এখন পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন। এ ছাড়া ১ হাজারের বেশি পর্যটক সেখানে আটকে পড়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, ভূমিধসের কারণে পর্যটনের জন্য বিখ্যাত মাঙ্গান জেলার লাচুং, লাচেনসহ বেশ কয়েকটি এলাকার সঙ্গে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

সাংকালাংয়ে সেতু ধসে পড়ে মাঙ্গানের সঙ্গে জংগু এবং চুংথাংয়েরও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বহু রাস্তা ধস নেমে বন্ধ হয়ে গেছে। বহু বাড়ি ভেঙে গেছে। এই জায়গাগুলো দেশের বাকি এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

ফলে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকেরা।

উত্তর সিকিমের লাচুং, লাচেন, মঙ্গন পর্যটকদের খুবই প্রিয়। সেখানেই গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 কর্তৃপক্ষ যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প সড়ক সংযোগ প্রস্তুত না করা পর্যন্ত আটকে পড়া পর্যটকদের যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকতে বলা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। মাঙ্গান জেলা প্রশাসন এই অঞ্চলে সড়ক সংযোগ পুনরায় চালু করতে ফিদাংয়ে দ্রুত একটি সেতু নির্মাণের জন্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে।

গত বছরের অক্টোবরে তিস্তা নদীতে ব্যাপক বন্যার পর সাংকালংয়ে ধসে পড়া বেইলি ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এ বছরও আবার ভেঙে পড়ল।

 মাঙ্গান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেম কুমার ছেত্রি জানান, পাকশেপ এবং আম্বিথাং গ্রামে তিনজন করে মারা গেছেন।

পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বাস্তুচ্যুতদের জন্য পাকশেপে ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং প্রশাসন, পুলিশ এবং বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের দ্রুত উদ্ধার কাজের পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

এদিকে আগামী কয়েকদিন সিকিমে ভারী বৃষ্টি থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। ফলে দুর্যোগ পরিস্থিতি আরো বেশ কয়েকদিন চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে তিস্তা নদীতে এখনও তীব্র স্রোত রয়েছে যা নিম্নাঞ্চলের সিংটাম শহরের বাসিন্দাদের ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে। গত বছরের অক্টোবরে ভারতের এই হিমালয় রাজ্যে আকস্মিক বন্যায় প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছিল।


এএফ/০৪ি