তাহিরপুর প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ০৯, ২০২৪
০৬:৩৯ অপরাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ০৯, ২০২৪
০৬:৩৯ অপরাহ্ন
দীর্ঘ আট বছর পর অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির কর্মীসভায় সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক মিফতাহ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে মানবিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখে অগ্রগতির বাংলাদেশ গড়তে আমরা দৃঢ়ভাবে সংকল্পবদ্ধ।’
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) উপজেলা বিএনপির আয়োজনে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বিএনপির কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, ‘আওয়ামীলীগ বিগত ১৫ বছরে দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও ভোটাধিকারকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। মানবিক মূল্যবোধ বলতে কিছু ছিলনা। দীর্ঘ সময় দেশে রেজিম চালানোর ফলে তাদের নৈতিক মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলেছিল। সর্বক্ষেত্রে নির্লজ্জ দলীয়করণ, অর্থ পাচার থেকে শুরু করে দেশে গুম-খুন ও গণধর্ষণ ছিল অপেন সিক্রেট। জনরোষের মূখে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েও তারা সংশোধিত হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশকে লুটেপুটে খেয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েও তারা সংশোধন হয়নি, সেখানে গিয়েও ধর্ষণের মতো জগন্য অপরাধ করেছে। আওয়ামীলীগ কখনো সংশোধন হবে না। বিএনপির নেতৃবৃন্দ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই চলমান রয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে মানবিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখে অগ্রগতির বাংলাদেশ গড়তে আমরা দৃঢ়ভাবে সংকল্পবদ্ধ।’
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক মিফতাহ সিদ্দিকী। সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্য নুরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী। এছাড়াও সভায় উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী ধরে তাহিরপুর বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। সম্মেলনের দিন সকাল থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপির নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল যোগে তাহিরপুর উপজেলা সদরে ঢুকতে দেখা গেছে। দুপুর ১২টার পর থেকে থেকে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সভাস্থলসহ আশপাশের এলাকা।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগের দীর্ঘ ১৫ বছরের অবৈধ শাসনামলে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে শত-শত মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে থাকতে দেয়নি আওয়ামী জুলুমবাজরা। তবে হুমকি ও মিথ্যা মামলা দিয়েও নেতাকর্মীদের মনোবল ভাঙতে পারেনি অবৈধ শাসকগোষ্ঠী। বক্তারা আরও বলেন, নেতাকর্মীরা এসব মাথায় নিয়েই আওয়ামী অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে লড়ে গেছে। আওয়ামী লীগের দমন-পীড়নের কারনে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে নানাসময় বেগ পোহাতে হয়েছে। সভা-সম্মেলন করা ছিল রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং। ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে অবৈধ হাসিনা সরকার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তবে আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখনও রয়ে গেছে, তারা এদেশকে অস্থিতিশীল করতে উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু তাদের দেশ ধ্বংসাত্মক এসব কর্মকাণ্ড কখনই সফল হয়নি, এদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ তা হতেও দেবে না।
এএফ/০৭