সিলেট মিরর ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫
০১:৩৯ অপরাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫
০১:৩৯ অপরাহ্ন
ভাষাসৈনিক, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সভাপতি অধ্যক্ষ মাসউদ খান বলেছেন, ‘বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের ক্ষেত্রে মাতৃভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কোরআন শরিফে মাতৃভাষার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। মাতৃভাষার মাধ্যমে যে কোন বিষয় সহজে বোধগম্য হয়।’
দেশের অন্যতম প্রাচীন সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে অমর একুশে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘ভাষা আন্দোলনে সিলেট’ শীর্ষক আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক গবেষক সেলিম আউয়াল।
সাহিত্য সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল মুকিত অপির সঞ্চালনা অনুষ্ঠিত সভার আলোচনায় অংশ নেন সাহিত্য সংসদের সহসভাপতি সৈয়দ মুহিবুর রহমান, মাসিক শাহজালাল সম্পাদক রুহুল ফারুক, কবি নাজমুল আনসারি, ডা. মো. ফয়জুল হক, ড. তুতিউর রহমান, আমিনা শহিদ চৌধুরী মান্না এবং সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন সাহিত্যকর্মী হোসাইন হামিদ।
ভাষাসৈনিক অধ্যক্ষ মাসউদ খান বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের চিন্তার বাইরে গেলেই তাদেরকে কম্যুনিস্ট, নাস্তিক অথবা ভারতের চর আখ্যায়িত করে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হতো। সেই প্রতিকুল অবস্থার মধ্যে সিলেটের বুদ্ধিজীবী থেকে সাধারণ মানুষও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন, যা আমাদের ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।
মুল প্রবন্ধে সেলিম আউয়াল বলেন, ভাষা আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল ঢাকায় ’৪৭ সনে রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে সভা আয়োজনের অনেক আগেই সিলেটে সাহিত্য সংসদ দুটো সভার আয়োজন করেছিলো। সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর উপস্থিতিতে একটি সভা উর্দুর সমর্থকরা প- করে দেয়। এইভাবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলনে মুসলিম সাহিত্য সংসদের নেতৃত্বে সিলেটবাসী অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
এদিকে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শিশুদের জন্যে সাহিত্য সংসদ আয়োজিত কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় ‘ক’ বিভাগে সাবিরা আফরোজ প্রথম, খাদিজা বেগম দ্বিতীয়, তাফসিয়া আক্তার তৃতীয় এবং ‘খ’ বিভাগে ঝর্ণা আক্তার প্রথম, রিয়া মণি দ্বিতীয় এবং তিশা তাবাচ্ছুম মিম তৃতীয় স্থান অধিকার করে।