সিলেট মিরর ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫
১১:২৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫
১১:২৬ পূর্বাহ্ন
আগের দিন বালুচরে বন বিভাগের অভিযানে জব্দ করা তিনটি বালিহাঁসকে আজ বুধবার সুরমা নদী তীরে নিয়ে অবমুক্ত করা হয়েছে। বন বিভাগের পাশাপাশি এসময় পরিবশে আন্দোলনের সংগঠন আব্দুল করিম কিমও উপস্থিত ছিলেন। এসময় খবর আসে নগরের মদিনা মার্কেট এলাকায় বিপন্ন প্রজাতির পাখি বিক্রি করছেন দুই বিক্রেতা। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আব্দুল করিম কিম গিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ৭টি পাখি উদ্ধার করেন। পরে বন বিভাগের টিম গিয়ে সেগুলো জব্দ করে।
উদ্ধার করা সাতটি পাখির মধ্যে রয়েছে পুরুষ লটকন, দুটি মুনিয়া ও চারটি শালিক।
জানা গেছে, মদিনা মার্কেট এলাকায় দুই জন বিক্রেতা বেশ কিছু বিপন্ন প্রজাতির পাখি বিক্রি করছিলেন। এসময় একজন সংবাদকর্মীর চোখে বিষয়টি ধরা পড়লে তিনি পরিবেশ আন্দোলনের সংগঠক আব্দুল করিম কিমকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে তিনি সেখানে আসার আগেই কিছু পাখি বিক্রি হয়ে যায়। খাচাবন্দি অবিক্রিত অবস্থায় একটি পুরুষ লটকন, দুটি মুনিয়া ও চারটি শালিক পাখি উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বন বিভাগ সিলেট রেঞ্জের রেঞ্জার শহিদুল্লাহ ঘটনাস্থলে এলে তার হাতে পাখিগুলো তুলে দেওয়া হয়।
প্রকাশ্যে পাখি বিক্রির ঘটনা বেড়ে যাওয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে পরিবেশ সংগঠক আব্দুল করিম কিম বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর পরিবেশকর্মীদের নজরদারির কারণে প্রকাশ্যে পাখি বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে গেলেও আবারও গোপনে গোপনে বিক্রি হচ্ছে। এই গোপন বিক্রি বন্ধ করা না গেলে প্রকাশ্যে বিক্রি শুরু হবে। তাই পাখি বিক্রি বন বিভাগের অপেক্ষা না করে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। পাখির ক্রয় বন্ধে ক্রেতাদের জরিমানা করতে হবে।’
এএফ/০৩