নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ২৩, ২০২৫
০৯:০০ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ২৩, ২০২৫
১০:৫৬ অপরাহ্ন
জামায়াতে ইসলামের আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ ‘অবশ্যই দেশকে সুশৃঙ্খল অবস্থান আনতে আমাদের একটি কার্যকর নির্বাচন লাগবে। আমরা আশা করছি আগামী বছরের প্রথম অংশে এ নির্বাচন হবে। কিন্তু অতীতের বস্তাপচা ধারার কোনো নির্বাচন আমরা চাই না এবং মেনে নেবো না।’
আজ বুধবার (২৩ জুলাই) বিকালে সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জামায়াতে ইসলামীর জনশক্তি ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘অবশ্যই দেশকে সুশৃঙ্খল অবস্থান আনতে আমাদের একটি কার্যকর নির্বাচন লাগবে। আমরা আশা করছি আগামী বছরের প্রথম অংশে এ নির্বাচন হবে। কিন্তু নির্বাচন কেমন চাই? আমাদের ষ্পষ্ট বক্তব্য অতীতের বস্তাপচা ধারার কোনো নির্বাচন আমরা চাই না এবং মেনে নেবো না। নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ। সকলের জন্য লেভেল প্লেইং ফিল্ডের উপর। সমতল মাঠ নিশ্চিত করেই নির্বাচন করতে হবে। প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করতে হবে, কোনো মাস্তানতন্ত্র চলবে না, কালো টাকার খেলা মানব না। এগুলো নিশ্চিত করে আগামী বছরের প্রথম অংশে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সংস্কারের কথা বলেছি। অবশ্যই আমরা সংস্কার চাই। সংস্কার করতে হবে।’
স্থানীয় নির্বাচন আগে দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলেছি দুর্ভোগ কমানোর জন্য। বহু জায়গায় জনপ্রতিনিধি নাই-জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ কিসের রাজনীতি জনগণকে আমি সাফারিংয়ের মধ্যে রেখে দেবো। আমরা বলেছি আগে স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে জনগণের দুর্ভোগ কমানোর জন্য।’
আল্লাহর ইচ্ছায় আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে বিশ^াস করি আল্লাহ তায়ালার একান্ত ইচ্ছায় এ পরিবর্তন হয়েছে। আর জমিনের দায়িত্ব ও কৃতিত্ব বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের। আমরা কাউকে কোনো মাস্টার মাইন্ড মানি না এবং নিজেদেরও মাস্টার মাইন্ড দাবি করি না। যদি আমরা নিজেদের মাস্টারমাইন্ড বলি তবে বাকি সবাইকে আন্ডারমাইন্ড করা হবে।’
তরুণদের কাজে লাগানোর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক দেশে ৪২ শতাংশের বেশি জনশক্তি রয়েছেন যাদের বয়স ৭০ বছরের বেশি। আমাদের দেশে ৩৫ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের সংখ্যা বেশি। এরাই ক্রিয়েটিভ। এরাই একটা সমাজকে গড়ে দিতে পারে। এদের উপর নির্ভর করেই যুগে সমাজে পরিবর্তন এসেছে। এটা বিশাল একটা শক্তি আমাদের দেশের। আমাদের মাটির নিচে আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন। মাটির উপরেও দিয়েছেন। সমুদ্রের তলেও আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন। কিন্তু এত সম্পদ দেওয়ার পরেও কেন আমরা দেশটা গড়তে পারলাম না। কেন একটি ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ আমরা গত ৫৪ বছরে পেলাম না। উত্তর একটাই, একটা সম্পদের কারণে আমরা পারিনি সেটি হচ্ছে চারিত্রিক সম্পদ।’