নাদির আহমেদ, শাবিপ্রবি
জুলাই ২৯, ২০২৫
০৮:২৬ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ২৯, ২০২৫
০৮:২৬ অপরাহ্ন
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে ফুচকা টংয়ের সংখ্যা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রান্তেই এখন চোখে পড়ছে একাধিক ফুচকার স্টল। ফলে ক্যাম্পাস যেন হয়ে উঠেছে ফুচকা হাট এমনটাই দাবি শিক্ষার্থীদের।এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।
পূর্বের সংবাদ- শাবিপ্রবিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সেমিনার অনুষ্ঠিত |
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যায়ের শহীদ মিনার, একাডেমিক বিল্ডিং বি ও ফোড কোর্টে রয়েছে বেশ কিছু ফুচকা ও চটপটির টং। ক্যাম্পাসের এসব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অতিরিক্ত ফুচকার টং গড়ে ওঠায় বিরক্তি প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।অনেকে আবার স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়েও লিখালিখি করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
শেখ মোহাম্মদ আশিক নামের এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস কি ফুচকার জন্য স্পেশাল কোন জোন নাকি?
যেখানে শিক্ষার্থীদের বসা বা হালকা নাস্তার জন্য শুধু ই বিল্ডিং এর টং ছাড়া আর কোনো টং রাখা হয় নাই বললেই চলে, নামমাত্র ফুডকোর্ট বসানো হয়েছে ক্যাম্পাসে সেখানে এমন যত্রতত্র ফুচকার দোকান কেন?প্রশাসনকে বলবো শিক্ষার্থীদের খাবারের সমস্যা সমাধান এবং ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধন করার স্বার্থে এমন যত্রতত্র ফুচকার দোকান বন্ধ করে অন্য টং দোকানের সংখ্যা বাড়াতে।
মিসবাহুর রাহমান জাহিস নামের আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ফুচকাসহ সবগুলো টং দোকানের খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিয়েও কথা বলা উচিত। প্রায়শই এসব দোকানে বাসি খাবার থাকে। ফুচকার টক, আলুভর্তা এসব একবার বানিয়ে সপ্তাহ খানেক পরেও সেটা সার্ভ করে।এছাড়াও কোনো ফুচকার দোকানে কিংবা টংয়ে ন্যুনতম স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়না।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক মো: মোখলেসুর রহমান বলেন, ফুচকার টং গুলোকে রি-এরেঞ্জমেন্ট করে সাজানোর প্রক্রিয়া চলছে। নতুন কোনো ফুচকার টংয়ের বরাদ্দ দেয়া হয়নি, এখন যা আছে তা বিদ্যমান ছিল। ফুচকা বিক্রি বন্ধ করে অন্য খাবার বিক্রির অনুমোদন দেয়া হয়েছে বি বিল্ডিং এর সামনে যা শিক্ষার্থীরা লাঞ্চে খেতে পারবে। আর বাকি যে দুটো ফুচকার দোকান সেগুলোকে এ বিল্ডিং ও ফোর্ডকোর্টের মাঝামাঝি জায়গাতে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এনএ-০১/এএফ-০৪