সিলেট মিরর ডেস্ক
জুলাই ৩০, ২০২৫
০৩:৪৯ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ৩০, ২০২৫
০৩:৪৯ অপরাহ্ন
সিলেটে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর যৌথ প্রশিক্ষণ ‘টাইগার লাইটনিং’ সম্পন্ন
সন্ত্রাস দমন, শান্তিরক্ষা, জঙ্গল অপারেশন এবং বিস্ফোরক ব্যবস্থাপনার মতো বিশেষায়িত বিষয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর মধ্যে যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ ‘অপারেশন টাইগার লাইটনিং’ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
২৩ জুলাই শুরু হওয়া এ মহড়ার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।
অংশগ্রহণ ও আয়োজন
প্রশিক্ষণে অংশ নেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এলিট ইউনিট প্যারা-কমান্ডো ব্রিগেডের ১০০ সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা ন্যাশনাল গার্ডের অধীনস্থ ৬৬ সদস্য। প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য ছিল দু’দেশের সেনাদের মধ্যে পারস্পরিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং অপারেশনাল সমন্বয় জোরদার করা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এ এস এম রিদওয়ানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্যারা-কমান্ডো ব্রিগেডের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল হাসান। এরপর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অভিজ্ঞতা ও বার্তা
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ইউএস মেজর উইস্টিসেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর মাহমুদুল হাসান।
রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন তার বক্তব্যে বলেন,‘টাইগার লাইটনিং শুধু একটি যৌথ সামরিক মহড়া নয়, এটি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক সহযোগিতার প্রতীক। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিতের যৌথ লক্ষ্যেরই প্রতিফলন এটি।’
তিনি আরও বলেন,‘এই মহড়ার মাধ্যমে মার্কিন সেনারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষা অভিযানে প্রমাণিত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সর্বদা শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে থাকে এবং মানের দিক থেকেও প্রথম সারিতে রয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১৮০০ নারী সেনাসদস্য এসব মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
টাইগার লাইটনিং যৌথ মহড়ার একটি ধারাবাহিক আয়োজন। বর্তমানে ‘টাইগার শার্ক’ নামে আরেকটি মহড়া চলছে, যেখানে স্পেশাল ফোর্সের সঙ্গে নৌবাহিনী অংশ নিচ্ছে। এ বছরের শেষ দিকে বিমান বাহিনীর সঙ্গে ‘প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল’ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে অতিথিরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্যদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন। এরপর ফটোসেশন এবং অতিথিদের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষরের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
জিসি / ০৫