তামাবিল মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস খাদে, আহত ২৮

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি


আগস্ট ০২, ২০২৫
০২:৩৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ০২, ২০২৫
০২:৩৯ পূর্বাহ্ন



তামাবিল মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস খাদে, আহত ২৮
গুরুতর ৭ জনকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি


সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার তামাবিল মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে গেলে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়। দুর্ঘটনায় বাসে থাকা অন্তত ২৮ জন যাত্রী আহত হন, যার মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা পৌনে ৮টার দিকে তামাবিল মহাসড়কে ফেরিঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে জাফলং থেকে ছেড়ে আসা গেইটলগ পরিবহনের একটি বাস (সিলেট মেট্রো-ব-১১-০০০৩) সিলেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। বাসটিতে মোট ৩২ জন যাত্রী ছিলেন। রাত আনুমানিক ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে বাসটি ফেরিঘাট এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা একটি ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি মহাসড়কের পাশের খালে উল্টে পড়ে যায়।

দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দারা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর গুরুতর অবস্থায় ৭ জনকে ওসমানী মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে তামাবিল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিই। আমাদের সদস্যরা উদ্ধার কাজের পাশাপাশি যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সক্রিয় ছিল। তিনি বলেন, এই দুর্ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় তদন্ত চলছে। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালন করছি এবং আহতদের পাশে আছি।

স্থানীয়ভাবে প্রশংসিত এই উদ্ধার কার্যক্রমে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপে দুর্ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তামাবিল হাইওয়ে থানার পুলিশ ও উদ্ধারকারী দলের এমন সহযোগিতাপূর্ণ উদ্যোগ এলাকাবাসীর প্রশংসা অর্জন করেছে।

ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সময়োপযোগী পদক্ষেপ দুর্ঘটনাপূর্ব পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।

এ ঘটনায় যাত্রীদের সহানুভূতি জানিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সবার সম্মিলিত প্রয়াস ও সচেতনতাই হতে পারে ভবিষ্যতের নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থার মূল চাবিকাঠি।


আরকেএস-০১/এএফ-০১