নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ২০, ২০২৫
০৯:৫৩ অপরাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ২১, ২০২৫
০৩:৩২ পূর্বাহ্ন
সাদাপাথরসহ সিলেটের বিভিন্ন স্থানে পাথর লুটের সঙ্গে সম্পৃক্তদের কোনো ছাড় নয় বলে মন্তব্য করেছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী।
আজ বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরের দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. রেজা-উন-নবী বলেন, ‘আমাদের কারো যদি সম্পৃক্ততা থাকে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী হোক কিংবা সে যে-ই হোক—আইনের আওতায় আনা হবে।’
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘আমাদের কথা হলো যারা রাষ্ট্রের সম্পদ চুরি করেছে। এর ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে, তারা দুষ্কৃতকারী। দুষ্কৃতকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা যেমন হবে, তেমনি অপকর্ম ঠেকাতে আমাদের সামগ্রিক প্রয়াস ও প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
পাথর লুটপাটকারীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে কি না প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটি চলমান আছে। ইন্টিলিজেন্স, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এ নিয়ে কাজ করছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত আছে।’
নির্ভুল তালিকার জন্য একটু সময় দেওয়া দরকার জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা অপেক্ষা করেন—যাতে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা যায় এবং তাতে যাতে কোনো ভুলভ্রান্তি না থাকে। যারা প্রকৃতি দুষ্কৃতকারী, এ অপরাধের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট তারা যেন সবাই ওই তালিকাভুক্ত হতে পারে। সেজন্য আমার মনে হয় যেটুকু সময় দেওয়া প্রয়োজন, সে সময়টুকু আমাদের দেওয়া উচিত।’
প্রশাসনের অনেকের সম্পৃক্ততার অভিযোগ মিলছে। এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের কারো যদি কোনো জায়গায় সম্পৃক্ততা থাকে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীই হোক বা যে-ই হোক, আইনের আওতায় আসবে। এ ব্যাপারে কোনো কথা নাই। দুষ্কৃতকারীর সঙ্গে যদি কারো কোনো যোগসাজশ থেকে থাকে অথবা কাউকে সহযোগিতা করে থাকে অথবা কেউ যদি জড়িত থাকে—সবাইকে এর আওতায় আনা হবে।’
সাদাপাথরকাণ্ডে কোম্পানীগঞ্জের সমালোচিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফেঞ্চুগঞ্জে প্রাইজ পোস্টিং দেওয়া হয়েছে—এমন অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এটা হয়েছে। এখানে উনারা যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সেভাবেই পোস্টিং দেওয়া হয়েছে।’
সিলেটে চোরাচালান ও খনিজ সম্পদ রক্ষায় বিজিবির আরো ৩টি ব্যাটালিয়ান সৃষ্টির প্রস্তাব দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সিলেটে বিজিবির ব্যাটালিয়নের যে সংখ্যা আছে তার সঙ্গে আমরা আরো ৩টি ব্যাটালিয়ন সৃষ্টির জন্য উপদেষ্টা, সচিবসহ সব জায়গায় বলেছি। একটি ব্যাটালিয়নের স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমানও আছে।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশের একটি ফাঁড়ি নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে এবং ক্যাম্প অথবা চেকপোস্ট, চেক পয়েন্ট এগুলো আবারও নতুন করে পুনঃস্থাপন করা হচ্ছে।’
তিনি সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে এবং করে যাচ্ছে। এজন্য তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আনসারের ক্ষেত্রেও আমরা কথা বলেছি। আনসারদের মাধ্যমে এমনকি প্রয়োজন হলে আনসারের ব্যাটলিয়নেরও যদি প্রয়োজন পড়ে আমরা সেটাও নিশ্চিত করব ইনশাআল্লাহ।’
বন্ধ হওয়া ক্রাশার মিলের ভাগ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন, বিদ্যুৎ বিভাগ আছে এখানে, পরিবেশ অধিদপ্তর আছে। তাদের সামগ্রিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যেটা করণীয় সেটা করা হবে।’
এএফ/০৩