নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ২৩, ২০২৫
০৯:২১ অপরাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ২৩, ২০২৫
০৯:২১ অপরাহ্ন
সিলেটে পাথর লুটপাট ও সংশ্লিষ্ট ঘটনায় বিজিবির দায়িত্বে অবহেলা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তর। বিষয়টি জানিয়ে ১৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার বলেছেন ‘সাদা পাথর লুটপাটের সঙ্গে জড়িত মহল বিজিবি সম্পর্কে নানা ধরনের অপতথ্য প্রচার করছে। পাথর লুটপাট ও সংশ্লিষ্ট ঘটনায় বিজিবির দায়িত্বে অবহেলা আছে কি না, তা তদন্ত করছে সদর দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি।’
আজ শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল এলাকায় টহল কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
১৯ বিজিবি অধিনায়ক বলেন, ‘সাদা পাথর লুটপাটের সঙ্গে জড়িত মহল বিজিবি সম্পর্কে নানা ধরনের অপতথ্য প্রচার করছে। বিজিবি সার্বক্ষণিক ভাবে তাদের আওতাধীন এলাকায় টহল অব্যাহত রেখেছে। একারণেই বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন সীমান্তের ৩০০ গজের ভিতরে এলাকাগুলো থেকে পাথর লুটপাট করতে পারেনি দুর্বৃত্তরা।’
সাম্প্রতিক লুটপাটের পর বিজিবি সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে জনবল বৃদ্ধিসহ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে ১৯ বিজিবির অধিনায়ক আরও বলেন, ‘গেল ২ মাসে পাথর চুরিতে ব্যবহৃত ৬ শতাধিক বারকি নৌকা জব্দসহ আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে বিজিবি।
অধিক পরিমানে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বিত টাস্কফোর্সের অভিযান চালানো হলে এত ব্যাপকভাবে লুটপাট হতো না বলেও মন্তব্য করেন বিজিবির এই কর্মকর্তা।
সিলেটের সাদা পাথর, বিছনাকান্দি, জাফলং, শ্রীপুর-রাংপানি, লোভাছড়াসহ লালখাল সীমান্তঘেঁষা প্রাকৃতিক পর্যটনকেন্দ্র। সাদা পাথর লুটের পর গণমাধ্যমে শ্রীপুরের রাংপানি লুটের চিত্র প্রকাশ পেলে বিজিবি নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর সারী নদী অবাহিক লালখালে টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, সিলেটের সব প্রাকৃতিক পর্যটনকেন্দ্র সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এসব জায়গা ঘিরে চোরাচালানিও হয় ব্যাপকভাবে। সাদা পাথর লুটকাণ্ডে দুনীতি দমন কমিশনের (দুদক) লুটেরা তালিকার প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিজিবি-পুলিশসহ প্রশাসনের গালিতির বিষয়টি প্রকাশ হয়েছে। এরপর বিজিবির উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন হয়।
এএফ/০৩