ওসমানীনগরের দাফন হওয়া রবিউল জীবিত!

ওসমানীনগর প্রতিনিধি


আগস্ট ২৩, ২০২৫
০৯:৪৪ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২৩, ২০২৫
০৯:৪৪ অপরাহ্ন



ওসমানীনগরের দাফন হওয়া রবিউল জীবিত!
*দাফনের ১৭দিন পর কিশোরকে জীবিত উদ্ধার *হত্যা মামলায় জেল খাটছেন রেস্টেুরেন্ট মালিক


দাফন করার ১৭ দিন পর জীবিত পাওয়া গেছে ওসমানীনগর উপজেলার কিশোর রবিউল ইসলামকে। নিখোঁজ হওয়ার পর লাশ শনাক্ত করে দাফন করেছিল তার পরিবার। গতকাল শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রবিউলকে তার নানার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনা এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। 

রবিউল জীবিত থাকলেও বিনা অপরাধে হত্যা মামলার প্রধান আসামী হয়ে জেল হাজতে রয়েছেন তার কর্মস্থল রেষ্টুরেন্টের মালিক বুলবুল ফকির। 

জানা যায়, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে রবিউলের নানার বাড়িতে সে  আত্মগোপনে ছিল। শুক্রবার হঠাৎ তার পরিবারের লোকজনই তাকে খুঁজে পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সেখানে গিয়ে রবিউলকে তাদের হেফাজতে নিয়ে আসে। শনিবার মৌলভীবাজার আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য পাঠানো হয়। ঠিক কি কারণে সে আত্মগোপনে ছিল, তা সে বিজ্ঞ আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জানিয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে; তার রেষ্টুরেন্টের মালিকের সাথে মন-মালিন্যতার জন্য সে আত্মগোপনে থাকতে পারে।

এর আগে, গত ২৬ জুলাই রেস্টুরেন্ট থেকে নিখোঁজ হয় রবিউল। রবিউলের স্বজনরা সম্বাব্য সকল স্থানে খোঁজাখোজিঁ  করে না পেয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন।  ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল এলাকার রেলস্টেশনের পার্শ্ববর্তী ডোবা থেকে অজ্ঞাতনামা এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে কুলাউড়া থানা পুলিশ। খবর পেয়ে রবিউলের পরিবার ও ওসমানীনগর থানা পুলিশ উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতনামা লাশটি নিখোঁজ রবিউলের দাবি করে শনাক্ত কওে নিয়ে আসেন। ৫ আগস্ট রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুল মিয়া রবিউলের হত্যাকারী দাবি করে তার বিচার ও  মামলা না নেয়ায় বিকেলে রবিউলের লাশ নিয়ে নিহতের পরিবারসহ এলাকাবাসী ওসমানীনগর থানার সামনে সিলেট-ঢাকা  মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। বিষয়টি আইনানুগ ভাবে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিহতের স্বজনসহ বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। পরে রাতে রবিউলের দাফন সম্পন্ন করা হয়। এর আগে  অভিযুক্ত বুলবুল ফকিরকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় বলে জানায় পুলিশ। ৮ আগস্ট রাতে নিহত রবিউলের মা পারুল বেগম বাদি হয়ে রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুলকে প্রধান আসামী করে (মামলা নং-০৮) দায়ের করেন। মামলায় আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।

রবিউলকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক বলেন, রবিউলকে তার নানার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

দাফনকৃত লাশের ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রয়োজনে সেটা তোলা হবে।  লাশের পোস্টমটেম হয়েছে রিপোর্ট আসবে ও ডিএনএ রিপোর্ট আছে যারা দাবি করবে তারে সাথে কথা ব্যবস্থা নেয়া হবে।


জেএ-০১/এএফ-০৫